আ.লীগ নয়, আমাদের প্রতিপক্ষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী : দুদু
বিএনপির নীতিনির্ধারকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে দলটির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘আপনারা ভেবে চিন্তে কর্মসূচি দিন, আগে দেখুন আমাদের প্রতিপক্ষ কে? আমাদের মূল প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ নয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।’
তিনি বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর দেশে কোনো নির্বাচন হয়নি, নির্বাচনের নামে নাটক হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দলটির প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, মোহাম্মাদ নাসিম মন্ত্রী হতেন; তারা কেউ মন্ত্রী হননি। কারণ অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মন্ত্রিপরিষদ গঠন করেন নাই, অন্য কোথাও থেকে তালিকা এসেছে।’
শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ দেশব্যাপী বিএনপির কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন দুদু।
তিনি আরও বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমাদের কোনো লড়াই হয়নি। আমাদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাই আমাদের ভেবে চিন্তে কর্মসূচি দিতে হবে।’
ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলটির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে ছাত্রদলের সাবেক এ সভাপতি বলেন, ‘৯ বছর পর গতকাল ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গিয়ে মিছিল করেছে। এভাবে ভয়কে জয় করতে হবে। আমি দৃঢভাবে বিশ্বাস করি তাদের এ ক্যাম্পাসে যাওয়ার মধ্য দিয়ে যে আন্দোলন গড়ে উঠবে সেটির মধ্য দিয়ে মিথ্যা মামলায় ১ বছর ধরে কারাবন্দি আমাদের প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ত্বরান্বিত হবে।’
আন্দোলন ছাড়া কারাবন্দি চেয়ারপারসন বেগম জিয়ার মুক্তি সম্ভব নয় উল্লখ করে দুদু আরও বলেন, ‘আমাদের সিনিয়র আইনজীবীরা স্পষ্ট করে বলেছেন, বিচারালয়ের মাধ্যমে বেগম জিয়ার মুক্তি আর সম্ভব নয়। তার মুক্তির একমাত্র পথ রাজপথ।’
সবাই বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য অবিলম্বে কর্মসূচি ঘোষণা করতে হবে। এ জন্য দলের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে স্থায়ী কমিটির আলোচনা দরকার। আলোচনা করে যৌক্তিক কর্মসূচি দিতে হবে। প্রয়োজনে হরতাল দিতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে এবং প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের যৌথ সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থায়ী কমিটির প্রবীণ সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আরও বক্তব্য দেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আব্দুল মঈন খান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, আতাউর রহমান ঢালী, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুগ্ম-মহাসচিব মাহবুব উদ্দীন খোকন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নাসিম হোসাইন, মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান প্রমুখ।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবি এম মোশাররফ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ ইসলাম অমিত, আব্দুল আউয়াল খান প্রমুখ।
কেএইচ/এনডিএস/পিআর