নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় ভোটের দাবি মঈন খানের
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে পুনরায় নির্বাচনের দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানান তিনি। এদিন বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত কালো ব্যাজ ধারণ করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
এতে প্রধান বক্তা হিসেবে মঈন খান বলেন, ২৯ ডিসেম্বর রাতেই নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে। আমরা নির্বাচন বাতিল চেয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে দাবি করেছি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে যেমন কুকুর-বিড়াল ভোটকেন্দ্রে ছিল। সে নির্বাচন দেশের মানুষ কখনোই মেনে নেয়নি। এই নির্বাচনও কখনো মানবে না।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে বন্দি করে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। মানুষের ভোটাধিকার হরণেও তারা ব্যর্থ হবে। মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।
মঈন খান আরও বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) দেশের পুলিশ, বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে ফেলেছে। মেগা উন্নয়নের নামে তারা মেগা দুর্নীতি করছে। এই হলো বর্তমান সরকারের উন্নয়নের নমুনা। এটাই একটা স্বৈরাচারী সরকারের চরিত্র। ভোট দখলের পর সরকার দেশের রাজনৈতিক সঙ্কটকে আরও দীর্ঘায়িত করেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারকে একদিন জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। ইনশাআল্লাহ, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবো।
মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয়ক আবদুস সালাম বলেন, জোরালো আন্দোলন শুরু হলে কিন্তু বুঝতে পারবেন। সুতরাং সময় থাকতে নতুন নির্বাচন দিন। আমরা শান্তিপূর্ণ থাকতে চাই।
কেএইচ/এমবিআর/এমএস