ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

প্রশাসনের অতি উৎসাহীরা নির্বাচনকে কলঙ্কিত করেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:১৬ পিএম, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

প্রশাসনের অতি উৎসাহীরা সংসদ নির্বাচনকে কলঙ্কিত করেছে বলে মনে করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-বাংলাদেশ জাসদ। দুই দিনব্যাপী দলটির জাতীয় কমিটি সভায় এমন মত দিয়েছে দলের নেতারা।

রোববার দলটির দফতর সম্পাদক ইউনুসুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে সভার প্রস্তাবে বলা হয়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের সব রাজনৈতিক দল ও জনগণ উদ্দীপনা ও আশা নিয়ে অংশগ্রহণ করলেও নির্বাচনের পরে বিষণ্নতায় আক্রান্ত হয়েছে গোটা জাতি। এর মূল কারণ হচ্ছে প্রশাসনের এক শ্রেণির অতি উৎসাহী অংশ ভোটের পূর্ব রাত্রেই ভুয়া ভোটের মাধ্যমে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে রাখাসহ নানা অনিয়ম সংঘটিত করেছে। এ ধরণের ন্যক্কারজনক ঘটনা নজিরবিহীন।

প্রস্তাবে আরও বলা হয়, জনগণের ভোটের মাধ্যমে ১৪ দল তথা মহাজোটের নিশ্চিত বিজয় জেনেও যে মহল বিশেষ এ অপকর্ম সংঘটিত করেছে, গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষার স্বার্থেই তাদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। কেননা এ কলঙ্কিত ঘটনার মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছে। এ কলঙ্কের দাগ মুছতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে তা নিশ্চিত করতে হবে।

১৪ দলীয় জোট প্রসঙ্গে
এ সভা মনে করে, যে রাজনৈতিক প্রয়োজনে ১৪ দলীয় জোট গঠিত হয়েছিল তা এখনো বহাল রয়েছে। ক্ষমতাসীন সরকারের রাজনৈতিক দল যদি ১৪ দলের প্রয়োজনীয়তা অনুভব না করে ১৪ দল ত্যাগও করে, তবুও অন্যান্য শরীক দল ১৪ দলের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৭১ এর যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখবে।

দলীয় কর্মসূচি প্রণয়ন প্রসঙ্গে
একটি প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বাংলাদশে জাসদ সমতা-গণতন্ত্র-ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার লড়াইকে জয়যুক্ত করার জন্য আশু কর্মসূচি প্রণয়ন করে ধারাবাহিক আন্দোলন গড়ে তুলবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ সব নির্বাচনকে সুষ্ঠু ধারায় ফিরিয়ে আনা, ভোটের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেয়া, উন্নয়নে বৈষম্য সৃষ্টির ধারা বন্ধ করে জনকল্যাণধর্মী উন্নয়নের নীতি গ্রহণ, ব্যাংক লুটসহ রাষ্ট্রীয় দুর্নীতির উৎসমুখ বন্ধ করা, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং জনজীবনের অন্যান্য জ্বলন্ত সমস্যাসমূহ সমাধানের দাবি সংবলিত কর্মসূচি প্রণয়ন করে আন্দোলন গড়ে তুলে নির্বাচন পরবর্তী বিষণ্নতা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব বলে এ সভা মনে করে। আন্দোলনে জনগণের অংশগ্রহণকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার প্রয়োজনে বৃহত্তর গণতান্ত্রিক ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

দলীয় ভিত্তিতে উপজেলা ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন পদ্ধতি বাতিলের দাবি

দলীয় ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে পূর্বের ন্যায় নির্দলীয় ব্যক্তি পরিচয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যবস্থা পুনর্বহালের জন্য এ সভা দাবি জানাচ্ছে। এ দাবিতে বাংলাদেশ জাসদ আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী মানববন্ধন, সভা, শোভাযাত্রা, মতবিনিময় প্রভৃতির মাধ্যমে ‘দলীয় মার্কামুক্ত স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিবস’ পালন করবে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে ৭ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে।

শহীদ কাজী আরেফ দিবস
এ সভা বাংলাদেশ জাসদের সব শাখাকে ১৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় বীর কাজী আরেফ দিবস পালনের আহ্বান জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হবে ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৩টায় শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে।

সাংগঠনিক
আগামী অক্টোবরের আগে জেলা সম্মেলন এবং নভেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রীয় সম্মেলন সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত গ্রহীত হয় সভায়।

দলের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়ার সভাপতিত্বে জাতীয় কমিটির সভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাসদ কার্যকরী সভাপতি মইনউদ্দিন খান বাদল এমপি, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মুশতাক হোসেন, মোহাম্মদ খালেদ, আনোয়ারুল ইসলাম বাবু, নাসিরুল হক নওয়াব, মঞ্জুরুল হক মঞ্জু; সহ-সভাপতি সর্বজনাব অ্যাডভোকেট আবু মো. হাশেম, কলন্দর আলী, গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, এটিএম মহব্বত আলী, শামীম আহমেদ, অ্যাডভোকেট হেমায়েতউল্লাহ হিরু; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বাদল, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল হক খোকন প্রমুখ।

সভায় ৪০টি জেলা প্রতিনিধিসহ শতাধিক সদস্য উপস্থিত থাকেন। সভা পরিচালনা করেন বাংলাদেশ জাসদ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করিম সিকদার।

এইউএ/এনডিএস/এমএস

আরও পড়ুন