ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

অর্থাভাবে রান্না বন্ধ বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে

প্রকাশিত: ০৫:৩৬ এএম, ২৫ আগস্ট ২০১৫

জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে এক সময় উৎসবমুখর পরিবেশে রান্নায় আয়োজন ছিল। দুপুর হলেই কার্যালয়টিতে খাবারের ধুম লেগে যেত। বর্তমানে খাবারের সব আয়োজন বন্ধ। মাঝে মাঝে চা তৈরি করতেও নানা জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে বিএনপির এ রাজনৈতিক কার্যালয়টিতে। জানা যায়, অর্থ সংকটে উৎসবমুখর কার্যালয়টির চিত্র বদলে গেছে। জাগো নিউজের অনুসন্ধানে এ রকম তথ্যই ওঠে এসেছে।

কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ বিএনপির দফরের দায়িত্ব পালন করেছিলেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি নয়াপল্টনে অবস্থানকালে প্রায় প্রতিদিনই দুপুরে এমনকি মাঝে মাঝে রাতেও রান্নার অায়োজন ছিল। বর্তমানে তিনি আটক অবস্থায় মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

টানা তিন মাস বিএনপির আন্দােলন চলাকালে কার্যালয়টি বন্ধ থাকার পর যখন খুলে দেয়া হয় তখন থেকে রান্নার সব আয়োজন বন্ধ রয়েছে। ‘টাকা পয়সা নাই তাই বাজার হয় না, বাজার না হলে রান্না হবে কিভাবে’ পল্টন কার্যালয়ের এক কর্মচারী এমনটাই জানান এই প্রতিবেদককে।

জানা গেছে, বিএনপি নয়াপল্টন কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় দফতরের দায়িত্ব পালন করেন ১১ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী। সকাল থেকে কাজ করার পর দুপুরে তারা এসব খাবার খেতেন। তবে এখন খাবার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নিজ দায়িত্বেই তারা দুপুরের খাবার খাচ্ছেন।

এদিকে ভবনটিতে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের অফিসগুলোতে কাজ করেন আরো ২৪ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী। এসব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দুপুরের খাবারও মাঝে মাঝে রান্না করা হতো। অবশ্য রুহুল কবির রিজভী পুরো সময় কার্যালয়ে অবস্থান করার কারণে রান্নায় আয়োজনটা হতো বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রদলের শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতা।

তিনি বলেন, পুরো ভবনে ৩৪ জন কর্মকর্তা কর্মচারী থাকলেও ছাত্রদলের অফিসে কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারী নেই। পল্টন কার্যালয় থেকে অনেকে কর্মচারীকে বাদ দেয়ার চিন্তা করা হচ্ছে বলেও শোনেছেন তিনি।

এ বিষয়ে কার্যালয়ের একজন কর্মচারী বলেন, আমরা ঠিক সময় বেতন পাচ্ছি। আগে সবাই মিলে একসঙ্গে খেতাম। এখন নিজ দায়িত্বে খেয়ে নেই।

এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি বিএনপির মুখপাত্রের দায়িত্বে থাকা দলটির আর্ন্তজাতিক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন। তিনি বলেন, এককভাবে তিনি কাউকে কোন মতামত দেন না। তিনি যা বলবেন সংবাদ সম্মেলনেই বলবেন।

এমএম/আরএস/এমএস