ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

এমপি হতে চান যেসব আইনজীবী

মুহাম্মদ ফজলুল হক | প্রকাশিত: ০২:৪৪ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০১৯

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন শতাধিক আইনজীবী। অনেকে মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য (এমপি-মন্ত্রী) হয়েছেন। যারা মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছিলেন তাদের কেউ কেউ এখন সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি হতে চান। এছাড়া নতুন করে অনেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের আগ্রহ দেখিয়েছেন।

সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের শপথ গ্রহণ শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে শপথ নিয়েছেন নবগঠিত মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরাও। এবার আলোচনা হচ্ছে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন নিয়ে। সংসদের প্রথম অধিবেশনেই সংরক্ষিত আসনে নারী এমপিদের যোগদান নিশ্চিত করতে চায় আওয়ামী লীগ সরকার। এরই মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করেছে দলটি। আজও বিক্রি হচ্ছে মনোনয়ন ফরম।

সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য হতে আগ্রহী বিচারাঙ্গনের এক ঝাঁক আইনজীবী। এরই মধ্যে সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়ন নিয়ে তোড়জোড় শুরু করেছেন আওয়ামী লীগমনা আইনজীবীরা। দল ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন আগ্রহীরা। পাশাপাশি তাদের অনেকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গেও দেখা করছেন। প্রায় প্রতিদিনই গণভবনে ভিড় করছেন তারা।

নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কারা পাচ্ছেন তা এখনও জানা না গেলেও তালিকায় রয়েছেন দশম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের কয়েকজন সংসদ সদস্য, সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী, শিক্ষিকা, উদ্যোক্তা, আইনজীবী, অভিনেত্রী, শিল্পী ও ব্যবসায়ী।

তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গত সংসদগুলোতে সংরক্ষিত নারী এমপি পদে যারা নির্বাচিত হয়েছিলেন তারা এবার দলের মনোনয়ন পাবেন না। সেদিক থেকে এগিয়ে রয়েছেন নতুনরাই।

সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিতে দেখা গেছে এসব আইনজীবীকে। প্রতিষ্ঠিত নারী রাজনীতিবিদদের সঙ্গে প্রচারণার মাঠে সরব ছিলেন সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের বিভিন্ন আদালতে কর্মরত নারী আইন আইনজীবীরা। তাদের উপস্থিতি এবারের নির্বাচনী প্রচারণায় যোগ করে ভিন্ন মাত্রা।

এবার নতুন করে আলোচনায় রয়েছেন- অ্যাডভোকেট আনোয়ারা শাহজাহান, অ্যাডভোকেট মাহফুজা বেগম সাঈদা, অ্যাডভোকেট জেসমিন সুলতানা, অ্যাডভোকেট নাজমা কাওসার, অ্যাডভোকেট কুহেলি কুদ্দুস মুক্তি, অ্যাডভোকেট জেসমিন সুলতানা শামসাদ, অ্যাডভোকেট জান্নাতুল ফেরদৌসী রূপা, অ্যাডভোকেট নুরুন্নাহার আক্তার নুপুর, অ্যাডভোকেট নাসরিন সিদ্দিকা লীনা, অ্যাডভোকেট সালমা হাই টুনি ও অ্যাডভোকেট সৈয়দা রুবিনা মিরা। এছাড়া অ্যাডভোকেট কাজী শাহানারা ইয়াসমিন, অ্যাডভোকেট পারভিন, অ্যাডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরী প্রমুখের নামও শোনা যাচ্ছে।

এছাড়া দশম জাতীয় সংসদে যারা সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তাদের মধ্যে অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, অ্যাডভোকেট হোসনে আরা বাবলী, অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি, অ্যাডভোকেট ফজিলাতুন নেছা বাপ্পী ও অ্যাডভোকেট নাভানা আক্তার এবং অ্যাডভোকেট নূর জাহান বেগম মুক্তার নামও জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক জাগো নিউজকে বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রায় দেড় ডজন নারী আইনজীবী। তারা সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টসহ বিভিন্ন আদালতে আইন পেশায় নিয়োজিত।

একাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী নারী আইনজীবীদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় –

মাহ্ফুজা বেগম সাঈদা

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সক্রিয় সদস্য, ১৯৭৯ সালের সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী, শিশু ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগ (কেন্দ্রীয় কমিটি)। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী পরিচালনা কমিটিতে সিলেট বিভাগের হয়ে কাজ করেছেন।

তিনি ওয়ান ইলেভেনের (২০০৭ সালে) সময় দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের পক্ষে আইনি লড়াইয়ে সহযোগিতাও করেছেন।

মাহ্ফুজা বেগম জাগো নিউজকে জানান, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ১৯৯৭ সালের প্রসিকিউটর ছিলেন। এর আগেও কয়েকবার মনোনয়নপত্র কিনেছিলাম। কিন্তু পাননি। তবে তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রেখে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। ‘মনোনয়ন পেলে দল ও প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরও শক্তিশালী করব। সরকারে উন্নয়নে অবদান রাখব’- বলেন তিনি।

আনোয়ারা শাহজাহান

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ। ঢাকা-২ (কেরানীগঞ্জ, কামরাঙ্গীরচর ও সাভার) সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য হতে চান তিনি।

বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সক্রিয় সদস্য, ’৭২ থেকে ’৭৪ সালে বেগম বদরুন্নেসা কলেজ ছাত্র সংসদে সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক। পরবর্তীতে ১৯৯২ থেকে ২০০৩ সাল পযর্ন্ত এবং ২০০৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী পরিষদের সভাপতি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী পরিচালনা কমিটিতে ঢাকা বিভাগের হয়ে কাজ করেছেন।

ওয়ান ইলেভেনের (২০০৭ সালে) সময় দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের পক্ষে আইনি লড়াইয়ে সহযোগিতা করেছেন। আনোয়ারা শাহজাহান জাগো নিউজকে বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ১৯৯৭ সালে প্রসিকিউটর পক্ষে ছিলেন। আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রেখে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। তাই মনোনয়ন পেলে দল ও প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরও শক্তিশালী এবং সরকারে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে কাজ করে যাব।

জেসমিন সুলতানা

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য, সাবেক সহ-সম্পাদক মহিলা আওয়ামী লীগ, কক্সবাজার জেলা কমিটি। সাবেক সহ-সভাপতি মহিলা আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, সাবেক সহ-সভাপতি আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, সহ-সভাপতি আইন সহায়তা কমিটি, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। এবার তিনি সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য হতে চান। দেশের বিভিন্ন জেলায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচারণায় কাজ করেছেন।

কুহেলি কুদ্দুস মুক্তি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসন নির্বাচিত আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে অ্যাডভোকেট কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি হতে চান। তিনি যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি।

জিনাত সোহানা চৌধুরী

চট্টগ্রাম জজ কোর্টের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এবং চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের পরিদর্শক। এছাড়া তিনি চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাবেক সদস্য। একই সঙ্গে তিনি সুচিন্তা বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়ক। একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী তিনি।

কাজী শাহানারা ইয়াসমিন

ঢাকা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি। ওয়ান ইলেভেনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামলায় অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন ও অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলামকে সার্বিক আইনি সহযোগিতা করেন। ২০০৪ সালে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার একজন ভিকটিম। একাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী তিনি।

সৈয়দা রুবিনা মিরা

প্রার্থী যেই হোক, বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার স্লোগানকে সামনে নিয়ে উজিরপুরে গণসংযোগ করেছেন বরিশাল-২ (বানারিপাড়া ও উজিরপুর) আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী অ্যাডভোকেট সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হিসেবে পরিচিত ৮০ দশকের ছাত্রনেতা জহিরুল হক হলের নির্বাচিত সাবেক জিএস ও আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক মোশাররফ হোসেন রাজার সহধর্মিনী সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা। এছাড়া তিনি সাবেক ঢাবি ছাত্রলীগ নেত্রী, কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সাবেক সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দফতর উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক।

নুরুন্নাহার নূপুর

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইডেন কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন ও বিধি উপ-কমিটির সদস্য নুরুন্নাহার নুপুরের নাম আলোচনায় রয়েছে। ঢাকা-৭ আসন থেকে সরাসরি নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন সংগ্রহ করলেও দলের সভাপতির কথায় সরে দাঁড়ান তিনি।

নুরুন্নাহার নূপুর বলেন, আমি চাঁদপুরের মানুষের সুখে-দুঃখে সব সময় পাশে আছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড প্রচারের জন্য এলাকায় সভা-সমাবেশ করে আসছি।

এছাড়া উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড প্রচারের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ইভেন্টের আয়োজন করে আসছি। প্রধানমন্ত্রীর নারী নীতিমালা বাস্তবায়নে দীর্ঘদিন ধরে এলাকার নারী, যুব সমাজকে একত্রিত করে বিভিন্ন সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কার্মকাণ্ড পরিচালনা করছি।

জেসমিন সুলতানা শামসাদ

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও গুরুত্বপূর্ণ মামলা পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্বরত অ্যাডভেঅকেট জেসমিন সুলতানা শামসাদ।

তিনি জানান, জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার, কুমিল্লা, রংপুর ও বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নির্বাচনী কাজ করেছি।

জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপা

সুপ্রিম কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ও বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া ২০০৬ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকর কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনিও সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী।

সালমা হাই টুনী

মুন্সিগঞ্জ-৩ (সদর ও গজারিয়া) আসন থেকে মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন। তিনি ঢাকার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর পাবলিক প্রসিকিউটর। ঢাকা বারের সাবেক সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ডিফেন্স টিমের আইনজীবী ছিলেন। তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। ওয়ান ইলেভেনের সময় দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতাদের পক্ষে আইনি লড়াইয়ে সহযোগিতা করেছেন বলেও জানান তিনি।

অন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ডিফেন্স টিমের দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর পক্ষে (রাষ্ট্রনিযুক্ত) তার মামলা পরিচালনা করেছিলেন।

এছাড়া তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটূক্তি ও একাধিক জন্মদিন পালনের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন। মুন্সিগঞ্জের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হতে চান তিনি।

শাহানা পারভিন

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বর্তমান কার্যকরী কমিটির (বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ থেকে নির্বাচিত) একমাত্র নারী সদস্য। নোয়াখালী মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী (১৯৮৬- আমৃত্যু, ২০০৪ পর্যন্ত) মরহুমা কহিনুর আক্তার খানমের মেয়ে অ্যাডভোকেট শাহানা পারভিনও মনোনয়নপ্রত্যাশী।

নাসরিন সিদ্দিকা লীনা

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আইন উপ-কমিটির সদস্য। এছাড়া তিনি কক্সবাজার সদর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য। তিনিও সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে মনোনয়নপ্রত্যাশী ।

কেমন নারী সংসদ সদস্য চায় আওয়ামী লীগ

সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনের বিষয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য ও প্রেসিডিয়াম মেম্বার ড. আবদুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের জানান, সংরক্ষিত নারী আসনে যোগ্যতম প্রার্থী অনুসন্ধান করা হচ্ছে। যারা দলের ও সরকারের দুর্দিনে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, বিভিন্ন কাজে অবদান রেখেছেন, দলের ও দলের সহযোগী সংগঠনে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন- এমন জনপ্রিয় নেত্রীরা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন। নেত্রী (শেখ হাসিনা) এমন গুণসম্পন্ন কর্মীর তালিকা তৈরি করছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘দলীয় সভাপতির ঘোষণা অনুযায়ী দশম সংসদে যেসব জেলায় সংরক্ষিত এমপি বঞ্চিত হয়েছেন, সেসব জেলা থেকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করলেই আমরা দল মনোনীতপ্রার্থী ঘোষণা করব।’

উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এতে ২৫৭টি আসনে জয় পেয়ে নিরষ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।

একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের ৫০ জন জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করা হবে ১৭ ফেব্রুয়ারি। তফসিল ঘোষণার আগে ইসি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে চিঠি দিয়ে জানতে চাইবে, তারা একক, নাকি জোটগতভাবে নির্বাচন করবে। দলগুলোকে এ বিষয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত ৩০ জানুয়ারির মধ্যে জানাতে হবে। এরপর ইসি ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটার তালিকা প্রণয়ন করবে। ১৭ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণা করা হবে। তফসিলে মনোনয়নপত্র দাখিল, মনোনয়নপত্র বাছাই ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় জানানো হবে।

এফএইচ/জেএইচ/এমএআর/এমএস

আরও পড়ুন