সংলাপে অংশ নেয়াদের আবারও গণভবনে আমন্ত্রণ জানাবেন প্রধানমন্ত্রী
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যেসব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী তাদের আবারও আমন্ত্রণ জানাবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ঢাকা ও এর আশপাশের জেলা, উপজেলা, পৌরসভা পর্যায়ের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রদের সঙ্গে যৌথসভার আগে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সব রাজনৈতিক দলকে সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সে সময় ঐক্যফ্রন্ট, যুক্তফ্রন্টসহ ৭৫টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে গণভবনে সংলাপ হয়েছিল। এখন নির্বাচন শেষ হয়েছে, আমাদের নেত্রী শনিবার ওয়ার্কিং কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ সভায় বলেছেন যাদের সঙ্গে সংলাপ হয়েছে তাদের আমন্ত্রণ করবেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে কিছু মতবিনিময় করবেন এবং তাদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা থাকবে। এ ব্যাপারে আমরাও সবাই একমত। যারা সংলাপ এসেছিলেন তাদের আবারও নেত্রী সংলাপে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। একসঙ্গে সবাইকে দাওয়াত দেয়া হবে। সেটা খুব শিগগিরই জানিয়ে দেয়া হবে।
আমন্ত্রণের বিষয়ে কাদের বলেন, সব রাজনৈতিক দল গণভবনে আমন্ত্রিত। ঐক্যফ্রন্ট আছে, যুক্তফ্রন্ট আছে, ১৪ দল আছে, জাতীয় পার্টি আছে, অন্যান্য যেসব দল আছে, সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। যাদের সঙ্গে সংলাপ করেছিলেন, তাদের চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেনের বিষয়ে কাদের বলেন, ড. কামাল হোসেন সাহেব জানেন বিএনপির সঙ্গে জামায়াত আছে, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপি আছে। কামাল হোসেন সাহেব বিএনপির সঙ্গে ঐক্যফ্রন্ট করেছেন, কাজেই তিনি এখন আবার জামায়াত-বিএনপির সঙ্গে আছে শুনে এটা মনে হয় যেন তিনি অবাক হচ্ছেন। বিএনপির সঙ্গে জামায়াত আছে, এটা জানলে তিনি নির্বাচন করতেন না, এমন কথা তো তিনি কোনো সময় বলেননি।
তিনি বলেন, তিনি তো জেনেশুনে বিষপান করেছেন। বিএনপির সঙ্গে জামায়াত ছিল, নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্ট করা ভুল হয়েছে। ড. কামাল হোসেনের এই ভুল স্বীকার এবং স্বী তা অব্যাহত রাখলে চলবে। আমাদের দেশের নেতারা একেক সময় একেক কথা বলেন, কামাল হোসেনের বক্তব্য এখানে আমরা স্ববিরোধী বলে মনে করছি। কেননা তিনি জেনেশুনেই তো বিএনপির সঙ্গে ঐক্য করেছেন। জামায়াত ছাড়া তো বিএনপির কোনো অস্তিত্ব নেই। বিএনপি মানেই জামায়াত, জামায়াত মানে বিএনপি। এ অবস্থায় কামাল হোসেন সাহেব যিনি জেনেশুনে কেন এত বড় ভুল করলেন, তাকেই সে ভুলের খেসারত দিতে হবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মহিবুল হাসান চৌধুরী প্রমুখ।
এইউএ/এমএমজেড/এমকেএইচ