খালেদার সঙ্গে আত্মীয়দের দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না : অভিযোগ রিজভীর
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘আজ প্রায় ২১/২২ দিন অতিক্রান্ত হলেও বিএনপি বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার নিকটাত্মীয়দের দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। বন্দীদের যে আইনসম্মত অধিকার তা থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে বেগম জিয়াকে। এই নিষ্ঠুর আচরণ কিসের ইঙ্গিত? বিশাল লাল দেয়ালের মধ্যে বেগম জিয়াকে অন্তরীণ রেখে বাইরের দুনিয়া থেকেও তাকে সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন করার পাঁয়তারা চলছে।’
সোমবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে দেয়ার যে কারাবিধান সেটিকে গায়ের জোরে লঙ্ঘন করাটা বেগম জিয়াকে নিয়ে সরকারের আরেকটি নতুন কোনো খারাপ পরিকল্পনা কি না তা নিয়ে প্রশ্নবোধক চিহ্নটা আরও দীর্ঘতর হচ্ছে। পৃথিবীর কোনো নিষ্ঠুর স্বৈরতান্ত্রিক দেশেও বন্দীদের সঙ্গে এরূপ দুর্ব্যবহার করা হয় না, যা করা হচ্ছে দেশনেত্রী বেগম জিয়ার সঙ্গে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপার্সনের একান্ত সচিব, আত্মীয়-স্বজন ও দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাক্ষাতের জন্য বারবার আবেদন করার পরেও কারাকর্তৃপক্ষ তাতে কোনো কর্ণপাতই করেনি। কারাবিধি অনুযায়ী ৭ দিন পরপর বন্দীদের সঙ্গে সাক্ষাতের নিয়ম। অথচ বেগম জিয়ার ক্ষেত্রে এই বিধান করা হলো ১৫ দিন পরপর। এখন সেই ১৫ দিনের বিধানকেও সরকারের নির্দেশে কারাকর্তৃপক্ষ অগ্রাহ্য করছে।’
অবিলম্বে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার আত্মীয়-স্বজনদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান তিনি।
সরকারের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন জনগণের ললাটে এক বিষাক্ত কাঁটা। অথচ প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেছেন, এবারের নির্বাচনের শৃঙ্খলা আগামীবারেও থাকবে। সাবাশ এইচ টি ইমাম সাহেব, আপনি আত্মমর্যাদাহীন, অনুশোচনাহীন, আজ্ঞাবাহী একজন মানুষ, যার পক্ষে আগামী নির্বাচন নিয়ে এ ধরনের অঙ্গীকার করা ছাড়া আর কিইবা বলার থাকতে পারে। বিবেক বিক্রি করা এইচ টি ইমাম সাহেবরা মানুষের ভোট কেড়ে নিতে কত দ্বিধাহীন, কত নির্লজ্জ! ভোগ-লালসায় অস্থির থাকায় এদের কাছে মানবিক বিবেচনাগুলো হারিয়ে গেছে। এরা ক্ষমতা ধরে রাখতে পুলিশের বুটের তলায় মানুষের ভোটাধিকার চেপে দেয়ার যে কলঙ্কজনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সেটিরই পূণরাবৃত্তি করার অঙ্গীরকার করলেন আগামী নির্বাচনের জন্য।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যারা বিবেক বিসর্জন দেয়, ন্যায়-অন্যায়ের এথিক্সের ধার ধারেন না কেবল তাদের দ্বারাই পূর্বে সংঘটিত যেকোনো ঘৃণ্য কাজের পুনরাবৃত্তিই হওয়াই সম্ভব। তবে আমি সুষ্পষ্টভাবে বলতে চাই- জনগণের অধিকারের পক্ষে আমাদের উচ্চারণ থামবে না। জনগণের ওপর জবরদস্তি করে ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাবেই।’
কেএইচ/এমবিআর/জেআইএম