গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় ফখরুলের ধিক্কার
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে এক নারীকে দুর্বৃত্তদের গণধর্ষণের ঘটনায় ধিক্কার জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ঘটনায় সরকারের সমালোচনা করে দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন তিনি।
বুধবার রাতে দলটির সহ-দফতর সম্পাদক বেলাল আহমেদ গণমাধ্যমে এই বিবৃতি পাঠিয়েছেন।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই ধরনের শ্বাসরোধী ঘটনা কেবলমাত্র পিশাচরাই ঘটাতে পারে। মহাজালিয়াতির ভোটের পর উদ্ধত উল্লাসে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা পশুপ্রবৃত্তির প্রকাশ ঘটিয়ে অনাচারে লিপ্ত হয়েছে। নোয়াখালীর সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের ১০-১২ জন কর্মী এক সিএনজিচালকের স্ত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করেছে। কারণ তারা তাকে নৌকায় ভোট দিতে বললে সে ধানের শীষে ভোট দেবে বলে তাদের সঙ্গে কথাকাটাকাটি করে।’
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই জন্য প্রতিশোধ নিতেই সে মহিলাকে রাত ১০টায় তুলে নিয়ে গিয়ে তারা নির্যাতন করে শ্লীলতাহানি করে। এই ঘটনা দেশবাসীর হৃদয়ে ভয়ানক নাড়া দিয়েছে, ব্যথিত করেছে। সিএনজিচালকের স্ত্রীকে নির্যাতনের মাধ্যমে শ্লীলতাহানির ঘটনা সরকারের টনক না নড়লেও বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের ভাবমর্যাদা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
ফখরুল বলেন, ‘মনে হয় সরকার নির্বাচনের নামে এক মহা-প্রতারণার পর দলের ক্যাডারদের বেপরোয়া হওয়ার জন্য ফ্রি লাইসেন্স দিয়েছে। তারা এই ছাড়পত্র পেয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মী ও ভোটারদের সর্বস্ব কেড়ে নেয়ার জন্য আদিম উম্মাদনায় মেতে উঠেছে। সুবর্ণচরের নারী ভোটারের ওপর আওয়ামী ক্যাডারদের পৈশাচিক নির্যাতন এই সরকারের কলঙ্কতিলক।’
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘আমি সুবর্ণচরের সিএনজিচালকের স্ত্রীর ওপর অবর্ণনীয় নির্যাতনের তীব্র নিন্দা, ধিক্কার ও ঘৃণা জানাচ্ছি। অবিলম্বে ধর্ষণকারী দুস্কৃতিকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। আমি নির্যাতিত মহিলাটির আশু সুস্থতা কামনা করছি।’
কেএইচ/বিএ