জাতীয় পার্টিই ফের বিরোধী দল হতে যাচ্ছে
একাদশ জাতীয় সংসদে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজেোটের প্রার্থীরা রেকর্ড সংখ্যক আসনে নিরঙ্কুশ বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন এটা প্রায় নিশ্চিত। কিন্তু সংসদে বিরোধী দল হচ্ছে কোন দল? বিএনপি, জাতীয় পার্টি নাকি অন্য কোনো দল?
প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে কোন দল বিরোধী দল হবে সে সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত করা বলা সম্ভব নয়। প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে, ২৯৯ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২৫৭টি। ২২টি আসন পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জাতীয় পার্টি। বিএনপি ৫টি আসন ও অন্যান্যরা ১৩টি আসনে জয় লাভ করেছে। সে হিসাবে জাতীয় সংসদের বিরোধী দল হওয়ার মতো আসন পেয়েছে জাতীয় পার্টি।
নির্বাচনে ভোট ডাকাতি ও অনিয়মের অভিযোগ আনা বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বিরোধী দলে যাবে না। সেক্ষেত্রে ২০১৪ সালের মতো জাতীয় পার্টি আবার বিরোধী দলের আসনে বসতে যাচ্ছে।
এর আগে রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন বিএনপিসহ অন্যান্য দলের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনের ফলাফল পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবিলম্বে নতুন নির্বাচনের দাবি জানায়।
রোববার রাতে বেইলি রোডের বাসায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ড. কামাল হোসেন এ দাবি জানিয়ে বলেন, দেশের সব আসন থেকে একই রকম ভোট ডাকাতির খবর এসেছে। বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের শতাধিক প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে বলছি, এ নির্বাচন বাতিল করা হোক। আমরা ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবিলম্বে নতুন নির্বাচনের দাবি করছি।
তবে কানাডা ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৩৪টি, জাতীয় পার্টি ৩৪টি, বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টি ৬টি, জাসদ ৫টি, জাপা (মঞ্জু) ২টি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ২টি, বাংলাদেশ জাতীয়বাদী ফ্রন্ট (বিএনএফ) ১টি ও স্বতন্ত্র ১৫টি আসনে বিজয়ী হয়।
এমইউ/এইউএ/বিএ/এমকেএইচ