ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

ঢাকা-১৪ আসনে বিএনপির ৬৬ এজেন্টকে বের করে দেয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১:০৩ এএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে সারাদেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে ‘উৎকণ্ঠা’ থাকলেও সকাল থেকে উৎসব মুখর পরিবেশে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। তবে ঢাকা-১৪ আসনে বিএনপির কোনো এজেন্টকে দেখা যায়নি। বিএনপির অভিযোগ তাদের এজেন্টকে বের করে দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বলছেন, বিএনপির এ অভিযোগ মিথ্যা।

ঢাকা-১৪ আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন আসলামুল হক আসলাম। অন্যদিকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচন করছেন সৈয়দ আবুবকর সিদ্দিক সাজু। আসনটিতে মূলত নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে।

নির্বাচনী এ আসনটির বিভিন্ন কেন্দ্রে রোববার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। তবে বিভিন্ন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য প্রার্থীদের এজেন্টদের দেখা গেলেও বিএনপির কোনো এজেন্টকে দেখা যায়নি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা জানান, সকাল থেকেই বিএনপির কোনো এজেন্ট কেন্দ্রে আসেননি। যারা আসছেন সবাইকেই কার্ড দেয়া হয়েছে।

মিরপুরে বসির উদ্দিন আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেয়া জন্য অপেক্ষা করছেন। কেন্দ্রটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৪০ হাজার। নারী ভোটার সংখ্যা কম হলেও ভোটারদের উপস্থিতি ক্রমেই বাড়ছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগের এজেন্ট থাকলেও বিএনপির কোনো এজেন্ট নেই।

এ বিষয়ে কেন্দ্রটির দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার ড. মো. আনিসুর হক ভূইয়া বলেন, আমি সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু করেছি। ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে শৃঙ্খলাভাবেই ভোট দিচ্ছেন। এখন পর্যন্ত (সাড়ে ৯টা) ৭-৮% ভোট পড়েছে। এমন থাকলে আশা করি দিনশেষে ৬০-৭০% ভোট পড়বে।

বিএনপির এজেন্ট না থাকা সম্পর্কে তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সকল এজেন্টদের স্বাক্ষর নিয়ে খালি ব্যালট বাক্সে ভোটগ্রহণ শুরু করেছি। তবে এখন পর্যন্ত বিএনপির কোনো এজেন্টকে দেখতে পাইনি। তারা কেন আসেননি সেটা জানি না। যারা এসেছেন সবাইকে কার্ড দেয়া হয়েছে। এজেন্টদের বাধা দেয়া হয়েছে এমন কোনো অভিযোগও পাইনি।

ঢাকা ল্যাবরেটরি ইনস্টিটিউট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা বদরুল আলম শাহীন জাগো নিউজকে বলেন, এই কেন্দ্রে মোট ২৫ হাজার ভোটার আছেন। নির্ধারিত সময়েই ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। অন্যান্য প্রার্থীর এজেন্ট আসলেও বিএনপির কোনো এজেন্ট আসেননি। কেন আসেনি জানি না, বাধা বা হুমকি দেয়ার কোনো অভিযোগও পাইনি।

বসির উদ্দিন আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন বেসরকারি চাকরিজীবী আলী আহাদ। ভোট দিয়ে বের হয়ে যাওয়া সময় জাগো নিউজকে তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে ভোট দিতে পেরেছি। ভোট দিতে পেরে আনন্দ লাগছে, কোনো সমস্যা হয়নি। নিজের ভোট পছন্দ মতো প্রার্থীকেই দিয়েছে।

মিরপুর শাহ আলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রেও সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। কেন্দ্রটিতে ভোটারদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। এই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার বিলকিস রুনা আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, আমরা যথাসময়ে ভোটগ্রহণ শুরু করেছি। ভোটার উপস্থিতিও ভালো। ভোটাররাও তাদের প্রার্থীদের ভোট দিচ্ছেন, কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

তবে এ কেন্দ্রেও বিএনপির কোনো এজেন্ট নেই। এ বিষয়ে তিনি বলেন, এজেন্টরা যদি না আসেন তাহলে আমাদের কিছু করার নেই। কোনো অভিযাগও পাইনি। পেলে ম্যাজিস্ট্রেটকে জানব।

এদিকে আসনের বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী সৈয়দ আবুবকর সিদ্দিক সাজু জানান, ঢাকা-১৪ আসন থেকে মোট ৬৬ জন বিএনপির এজেন্টকে পুলিশের সামনে মারপিট করে বের করে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি নির্বাচন কমিশন ও সেনাবাহিনীর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, বিএনপির এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। একটি প্রহসনের নির্বাচন শুরু হয়েছে। রাতেই পুলিশ বিএনপির অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। ভয় দেখানো হচ্ছে। আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়া হচ্ছে।

তবে বিএনপি প্রার্থীর এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ বিষয়ে মিরপুর থানা যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন লিটু জাগো নিউজকে বলেন, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটারদের উপস্থিতি দেখে মেনে হচ্ছে সবাই উৎসাহ নিয়ে ভোট দিচ্ছেন। ভোটারদের কোনো অভিযোগ নেই।

বিএনপির এজেন্টদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না -এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা কাউকে বাধা দিচ্ছি না। তারা (বিএনপি) মিথ্যাচার ও গুজব ছড়িয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। তারা বুঝতে পারছে তাদের পরাজন নিশ্চিত।

এমএইচএম/আরএস/এমকেএইচ

আরও পড়ুন