প্রতিটি মানুষ যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে : সোহেল তাজ
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ বলেছেন, আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বাংলাদেশের সকল নাগরিকের মতো আমিও আশা করি যে, এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে একটি সুষ্ঠু সুন্দর শান্তিপূর্ণ পরিবেশে, যাতে করে প্রতিটি মানুষ তার গণতান্ত্রিক ভোটাধিকার নির্দ্বিধায় নির্ভয়ে প্রয়োগ করতে পারে- যেই অধিকার ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এ দেশের মানুষ অর্জন করেছে।
শনিবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন।
সোহেল তাজ লিখেছেন, আমাদের সবারই একটি পরিচয় আছে, আমরা সবাই কারও না কারও সন্তান। আমাদের বাবা/মা আছে, দাদা/দাদি, নানা/নানি আছে। তেমনি একটি দেশের পরিচয় খুঁজে পাওয়া যায় তার ইতিহাসে। বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাস হচ্ছে একটি গৌরবের ইতিহাস, মুক্তি ছিনিয়ে আনার ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ করে তিরিশ লাখ শহীদসহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধার জীবনের বিনিময়ে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার ইতিহাস। প্রশ্ন হচ্ছে- কেন সেদিন বাংলার যুবকরা এমনকি এগারো- বারো বছর বয়েসের যুবকরা স্বেচ্ছায় নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল?
আজকে আমরা যদি কোনো মুক্তিযোদ্ধাকে জিজ্ঞেস করি তিনি কেন নিজের জীবন বাজি রেখে সেদিন মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন- তিনি নির্দ্বিধায় বলবেন, মুক্তির জন্য, স্বাধীনতার জন্য, সোনার বাংলার স্বপ্নের জন্য।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, সোনার বাংলার স্বপ্ন ? কী এমন স্বপ্ন এটা, যার জন্য জীবন দিতে তারা প্রস্তুত ছিলেন?
এটা কি কোনও সোনা দিয়ে তৈরি ঘর বাড়ি/দালান কোঠা ? উত্তরে তিনি নির্দ্বিধায় বলবেন, যে সোনার বাংলার স্বপ্ন হচ্ছে এমন একটা সুন্দর দেশ যেখানে সকল মানুষ- নারী পুরুষ, গরিব ধনি, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সমান অধিকার নিয়ে নিরাপদে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারবে। এমন একটি স্বপ্নের দেশ যেখানে একটি মানুষ খাদ্যের অভাবে মারা যাবে না। এমন একটি দেশ যেখানে একটি মানুষ বিনাচিকিৎসায় মারা যাবে না। এমন একটা সোনার বাংলা যেখানে আমাদের সন্তানরা স্কুল কলেজ মাদরাসায় নির্দ্বিধায় নিরাপদে শিক্ষা অর্জন করতে পারবে। এমন একটি সমাজ ব্যবস্থা যেখানে প্রাধান্য দেয়া হবে মেধাকে, যেখানে সবাই পাবে ন্যায়বিচার, আইন হবে সবার জন্য সমান, যেখানে দুর্নীতি, দলীয়করণ কোনও স্থান পাবে না।
তিনি বলবেন এই স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু আর এই স্বপ্ন অর্জনের লক্ষ্যে সেদিন মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ।
তাই আজকে আমাদের সকলের প্রত্যাশা যে, এই নির্বাচনের মাধ্যমে যেন আমরা সেই কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের দিকে এগিয়ে যেতে পারি, সবার জন্য একটি সুন্দর ভব্যিষৎ গড়ার লক্ষ্যে।
জেডএ/পিআর