রাত পোহানোর অপেক্ষা
‘কোথায় যাবেন? কেন্দ্রের ভেতর প্রবেশ করতে হলে অনুমতি লাগবে।’ আজিমপুর পুরাতন কবরস্থানের দেয়াল ঘেঁষে নতুন পল্টন লাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গেটে দাঁড়াতেই নিরাপত্তারক্ষী এ প্রতিবেদককে এমন কথা বলেন। পরিচয় দিতেই নিচতলায় চেয়ারে বসা তিন চারজনকে দেখিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
সেখানে কেউ সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার কেউবা পোলিং অফিসার। ভোট কেন্দ্রের সার্বিক প্রস্তুতি সরেজমিনে দেখার আগ্রহ প্রকাশ করলে একজন প্রিসাইডিং অফিসারের নম্বর দিয়ে তার অনুমতি নেয়ার কথা বলেন। যোগাযোগ করার পর প্রিসাইডিং অফিসার কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলেন।
মিনিট পাঁচেক পর পুলিশ কর্মকর্তা গণমাধ্যম থেকে কে এসেছেন জানতে চাইলেন। পরিচয় দিতে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি নেবেন বলে একটু দূরে যান। এরপর হন হন করে স্কুলটির ওপর তলায় প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন।
ফিরে এসে এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘প্রিসাইডিং অফিসার অনুমতি দিয়েছেন। এখন আপনি যেতে পারেন।’ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এ প্রতিবেদক ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন।
তিন তলায় একটি টেবিলের সামনে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে বসে আছেন অল্প বয়সী একজন প্রিসাইডিং অফিসার। তিনি আজিমপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক। মো. আহসানুজ্জামান। তিনি সামনে থাকা স্বচ্ছ ব্যালট বক্স দেখিয়ে বলেন, ‘বুথ স্থাপনসহ সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন। এখন শুধু রাত পোহানোর অপেক্ষা।’ এরপর তিনি চারটি বুথ ঘুরিয়ে দেখালেন। তিনটি কক্ষে দুটি করে পর্দা ও একটিতে একটি পর্দা। দ্বিতীয় তলাতেও একই অবস্থা।
তিনি জানান, এখানে ঢাকা-৭ নির্বাচনী এলাকার কেন্দ্র ১০ ও ১১ এর ভোট নেয়া হবে। কেন্দ্র ১০ এ তিন হাজার ৯৭৩ জন পুরুষ ভোটার ও কেন্দ্র ১১ এর তিন হাজার ৩৬২ জন নারী ভোটার রয়েছে। দোতলা ও তিনতলাতে ৭টি করে মোট ১৪টি বুথে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে।
এ দুটি কেন্দ্রে ১ জন করে প্রিসাইডিং অফিসার, ১৪ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ২৮ জন পোলিং অফিসারসহ মোট ৪৪ জন দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়াও কেন্দ্রের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত পুলিশ ও আনসার সদস্য থাকবেন।
তিনি আরও জানান, আগামীকাল ভোটকেন্দ্রের ভেতরে গণমাধ্যমকর্মীরা ভিডিও করতে পারবে না। বুথের ভেতর স্থিরচিত্রও নেয়া যাবে না। আজ রাতে চেয়ার-টেবিল পেতেই রাত কাটাতে হবে। এখন শুধু অপেক্ষা। যেন সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে পারি, দোয়াও চাইলেন।
এমইউ/এমআরএম/পিআর