ঢাকা-১০ আসনে সর্বত্রই তাপস
রাজধানীর ঢাকা-১০ আসনে প্রচার-প্রচারণায় সর্বাধিক এগিয়ে আছেন সরকার দলীয় প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। ধানমন্ডি, কলাবাগান, নিউমার্কেট এবং হাজারীবাগ এলাকার বিভিন্ন রাজপথ থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লার ছোট-বড় অলি-গলির সর্বত্রই তাপসের প্রচারণার ব্যানার-পোস্টারের ছড়াছড়ি।
তিন সপ্তাহ আগে এবারের নির্বাচনের প্রচারণা শুরুর আগে এ আসনটিতে ধানের শীষের প্রার্থী বিএনপি নেতা আবদুল মান্নানকে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবা হলেও প্রচার-প্রচারণায় সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে ছিলেন তিনি। বরং তার তুলনায় অন্যান্য প্রার্থীর (হাতাপাখা নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আ. আউয়াল আম প্রতীকে, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির কে এম শামসুল আলম বাঘ প্রতীকে, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) বাহারানে সুলতান বাহার এবং লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টির হেলাল উদ্দিনের প্রচারণা কমবেশি চোখে পড়েছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, এ আসনে ফজলে নূর তাপস বিপুল ভোটে জয়ী হবেন। তার বিজয় সময়ের ব্যাপার মাত্র। তারা বলেন, এ আসনে বিএনপি থেকে কে প্রার্থী হয়েছে তা বহু ভোটার জানেই না।
অবশ্য বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, সরকার দলীয় ক্যাডার ও পুলিশের মামলা ও গ্রেফতারের ভয়ে আবদুল মান্নান প্রচার-প্রচারণায় নামতে পারেননি। তবে শেষ পর্য়ন্ত তিনি নীরব ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে ফজলে নূর তাপসকে পরাজিত করবেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ঢাকা-১০ আসনের মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১৩ হাজার ৭৫৮। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৬৯ হাজার ৮৫১ জন এবং নারী ভোটার এক লাখ ৪৩ হাজার ৯০৭ জন।
এ আসনে বিগত সময়ের নির্বাচনগুলোর মধ্যে ১৯৯১ সালে ধানের শীষের পর ১৯৯৬ সালে নৌকা, ২০০১ সালে আবার ধানের শীষ বিজয়ী হয়েছিল এই আসনে। বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে ফজলে নূর তাপস ২০০৮ সালে প্রথম ভোটে দাঁড়িয়েই জয় পান এই আসনে। ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তিনি।
গতকাল (শুক্রবার) সকাল থেকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা বন্ধ রয়েছে। আজ (শনিবার) সরেজমিন ধানমন্ডি, নিউমার্কেট ও কলাবাগানের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সর্বত্রই তাপসের ব্যানার আর পোস্টারের ছড়াছড়ি। গত কয়েকদিন ছোট আকারের ব্যানার দেখা গেলেও ভোটের দিন ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বিভিন্ন কেন্দ্রের সামনে বড় বড় ব্যানার লাগানো হচ্ছে।
এমইউ/এমবিআর/এমএস