ফারুকের দখলে মাঠ, নেই পার্থ-হুদা-এরশাদ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি মাত্র চারদিন থাকলেও ঢাকা-১৭ আসনে চলছে ভারসাম্যহীন প্রচারণা। প্রচারণার শুরু থেকেই গুলশান বনানী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের দখলে ছিল। মঙ্গলবারও সে অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। একেবারেই একতরফা সভা-সমাবেশ, শোডাউন আর গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফারুকের নেতাকর্মীরা।
ফারুকের নৌকা মার্কার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে রয়েছেন বিএনপি জোটের প্রার্থী বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির আন্দালিব রহমান পার্থ, জাপা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ ও ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। তবে নির্বাচনী প্রচারণায় তাদের সমর্থকদের তেমন কিছু চোখে না পড়লেও পার্থের নেতাকর্মীরা রাতে কিছু কাজ করে যাচ্ছেন।
মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) গুলশান বনানী ও কালাচাঁদপুর ছাড়াও এ আসনের বিভিন্ন স্থানে ফারুকের নৌকা প্রতীকের সমর্থনে খণ্ড খণ্ড মিছিল করতে দেখা গেছে। দিনভর নৌকা প্রতীকের বাইরে অন্য কোনো প্রতীক বা প্রার্থীর পক্ষে স্লোগান দিতে দেখা যায়নি।
এ আসনে বিতর্কিত ও আলোচিত রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা কয়েকদিন প্রকাশ্যে প্রচারণা চালালেও এখন তাকে বা তার সমর্থকদের দেখা যাচ্ছে না। এছাড়া এরশাদের কোনো প্রচারণা নেই বললেই চলে।
বনানীর ভোটার মেজবাহুল জাগো নিউজকে বলেন, নির্বাচন হচ্ছে এবতরফা। মনে এক দলীয় নির্বাচন। অন্যান্য বারের মতো এ বছর প্রচার প্রচারণা নেই। তবে নৌকার পক্ষে প্রতিদিনই প্রচারণা চলছে। নেতাকর্মীরা ভোট চাচ্ছেন।
নির্বাচনী প্রচারের শুরুতে ঢাকা-১৭ আসনে বনানী ও গুলশান এলাকায় কোনো প্রার্থীর প্রচারণা না দেখে অনেকে মনে করছিলেন শেষের কয়েকদিন সব প্রার্থীর প্রাচারণা থাকবে। বাস্তবে অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। বরং দিনদিন পরিস্থিতি আরও ভারসাম্যহীন হয়ে যাচ্ছে বলে দাবি সাধারণ মানুষের।
কালাচাঁদপুরের বাসিন্দা দিদারুল ইসলাম বলেন, পার্থর কিছু পোস্টার টানানো হলেও এখন আর সেগুলো চোখে পড়ে না। সর্বত্র আওয়ামী লীগ প্রার্থী আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের জয়গান। তিনি মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও রয়েছেন তার সঙ্গে।
কয়েকদিন আগে ভাসানটেক এলাকার প্রধান সড়কের প্রবেশ পথে টানানো হয়েছিল আন্দালিব রহমান পার্থের কিছু পোস্টার। তবে কে বা কারা সেগুলো ছিড়ে ফেলে।
আবার ব্যাপকভাবে না হলেও ঢাকা-১৭ আসনের বেশ কয়েকটি এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও উঠান সভা করেছেন এ এলাকার বর্তমান সংসদ সদস্য বিএনএফের আবুল কালাম আজাদ। তবে মাঠের আলোচনায় সবার থেকে পিছিয়ে রয়েছেন তিনি। এলাকাবাসীর মতে, বিগত নির্বাচনে বিএনপি না আসার একরকম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হন আবুল কালাম আজাদ।
এ ছাড়া নাজমুল হুদার সিংহ প্রতীকের কিছু পোস্টার চোখে পড়ে কেবল গুলশান শুটিং ক্লাবের আশপাশে। তবে নির্বাচন করলেও তার পোস্টার সরকারের গুণগানে ভরা। বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতাও চান আলোচিত এ রাজনীতিবিদ।
নির্বাচনে প্রচারণা ও পরিবেশ সম্পর্কে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, কে প্রচারণায় আছে আর কে নেই সেটি না বরং খুশির খবর হচ্ছে ঢাকা-১৭ আসনে নির্বাচনকে ঘিরে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
আরএম/এএইচ/এমএস