নির্বাচনী ক্যাম্পগুলোতে প্রাণচাঞ্চল্য নেই
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র চার দিন বাকি থাকলেও রাজধানীতে বিভিন্ন প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে আগের সেই প্রাণচাঞ্চল্য নেই! এক দশক আগে ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেখা গেছে- কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত অবধি নির্বাচনী ক্যাম্পগুলো ছোট-বড় নেতাকর্মীদের জমজমাট আড্ডা, হালকা নাস্তা সহযোগে আপ্যায়ন, নির্বাচনী গান-বাজনা ও মিছিল স্লোগানে মুখরিত থাকলেও এবারের নির্বাচনে ক্যাম্পগুলোর অধিকাংশই ফাঁকা থাকছে। বিশেষ করে দিনের বেলায় চেয়ার-টেবিলে বসার মতো নেতাকর্মীর দেখা মিলছে না।
জাগো নিউজের এ প্রতিবেদক আজ (মঙ্গলবার) রাজধানীর রমনা, লালবাগ ও ধানমন্ডির বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা ঘুরে দেখেছেন এ দুটি নির্বাচনী এলাকায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তথা মহাজোটের তিন প্রার্থী রাশেদ খান মেনন, হাজী মো. সেলিম ও ফজলে নূর তাপসের পোস্টার ও ব্যানারের ছড়াছড়ি। সে তুলনায় বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের পোস্টার-ব্যানার বলতে গেলে শূন্যের কোটায়। প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের এক বা একাধিক ক্যাম্প থাকলেও দুপুর ১২টার পরও ক্যাম্পগুলোর প্রায় প্রত্যেকটি নেতাকর্মী শূন্য। আর ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের কোনো ক্যাম্প এখনও চোখেই পড়েনি।
দুপুর সোয়া ১২টায় হাইকোর্ট মাজার প্রধান গেট সংলগ্ন নৌকার প্রার্থী রাশেদ খান মেননের নির্বাচনী ক্যাম্পে তিনজন পুলিশ সদস্যকে বসে পপকর্ন খেতে দেখা যায়। ক্যাম্প ফাঁকা কেন? তারা এখানে বসে কী করছেন? জিজ্ঞাসা করতে একজন পুলিশ সদস্য বললেন, এখানে বিকেলের আগে কাউকে পাবেন না। ক্যাম্প খালি দেখে তারা বসে কিছুটা বিশ্রাম নিচ্ছেন বলে জানান।
আজিমপুর এতিমখানার বিপরীত দিকে ও ছাপড়া মসজিদের সামনে এসে হাজী মো. সেলিমের দুটি নির্বাচনী ক্যাম্পের একটিতে কয়েকজন আওয়ামী লীগ কর্মীকে দেখা গেলো। তারা জানান, স্থানীয় নেতা আবদুর রহমান নৌকার প্রার্থী হাজী সেলিমের পক্ষে এ ক্যাম্পটি দেখভাল করছেন। বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা নেই, এমনকি বিএনপি থেকে কে লড়ছে তাও অনেকে জানেন না বলে ওই কর্মী মন্তব্য করেন।
এদিকে বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা বলছেন, একদিকে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হাকডাক ও অপরদিকে পুলিশ ও গোযেন্দা সংস্থার গ্রেফতার আতঙ্কে তারা মাঠে থাকতে পারছেন না।
ঢাকা-৭ আসনে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হুমকি-ধামকির কারণে তার পক্ষে নেতাকর্মীরা মাঠে নামাতে পারছেন না। নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড এথনও হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এমইউ/এমবিআর/জেআইএম