চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর
চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে বিএনপি প্রার্থী আবু সুফিয়ানের নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অন্তত ১০টি মোটরসাইকেল, তিনটি গাড়িসহ ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। হামলায় যুবদল ও বিএনপির দুই কর্মী আহত হন।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে চান্দগাঁও আবাসিকের ৮ নম্বর সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার চট্টগ্রামের স্থানীয় একটি অনলাইন পোর্টালের উন্মুক্ত নির্বাচনী সংলাপে পাশাপাশি বসে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্নের প্রতিশ্রুতি দেন বিএনপি প্রার্থী আবু সুফিয়ান ও মহাজোটের প্রার্থী মইন উদ্দিন খান বাদল। কিন্তু সেই সংলাপ শেষ হবার দুই ঘণ্টারও কম সময়ের মাথায় নগরের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় আবু সুফিয়ানের নিজ বাড়িতে প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
হামলার সময় আবু সুফিয়ান বাড়িতে না থাকলেও বাড়ির নিচে নির্বাচনী কার্যালয়ে থাকা আযুব খান ও ইব্রাহিম নামে যুবদল-বিএনপির দুই কর্মী আহত হন।
এদিকে এ হামলার জন্য ছাত্রলীগ-যুবলীগকে দায়ী করে আবু সুফিয়ান বলেন, ‘কয়েক ঘণ্টা আগেই আমরা দুই প্রার্থী সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্নের কথা বলে আসলাম। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সরকারি দলের লোকজন আমার চান্দগাঁও আবাসিকে আমার বাড়ি ও প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে।’
চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের প্রচার সম্পাদক মাহবুবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘সন্ধ্যা সাতটার দিকে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ২০-৩০ জন যুবক লাঠিসোটা নিয়ে বিএনপি প্রার্থী আবু সুফিয়ান ভাইয়ের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা করে। এ সময় নেতাকর্মীরা না থাকলেও কার্যালয়ে থাকা ১০টি মোটরসাইকেল, আবু সুফিয়ান ভাইয়ের নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় তারা আবু সুফিয়ান ভাইয়ের বাসা লক্ষ্য করেও কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। কিছুক্ষণ আগে পুলিশ এসে অভিযোগ দায়েরের কথা বলে চলে গেছে। কিন্তু সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর আবারও হামলার করতে পারে বলে আশঙ্কা করছি।’
এদিকে চান্দগাঁও থানার ওসি আবুল বশর জাগো নিউজকে বলেন, ‘হামলার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। আক্রান্ত ব্যক্তিদের থানায় অভিযোগ দায়েরের জন্য বলেছি।’
আবু আজাদ/জেএইচ/জেআইএম