ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

বাবাও কারাগারে ছিলেন, ডা. শাহাদাতের পরিবারের ব্যথা বুঝি : নওফেল

নিজস্ব প্রতিবেদক | চট্টগ্রাম | প্রকাশিত: ০৫:১৪ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০১৮

চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) আসনের বিএনপি প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন কারাগারে থাকায় তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন ওই আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

তিনি বলেন, ‘মহানগর বিএনপির সভাপতি কারাগারে কী কারণে আছেন সে ব্যাপারে আমি মন্তব্য করব না। তার পরিবার এ নিয়ে শঙ্কায় আছে, এই শঙ্কাকে আমি সম্মান করি। আমার বাবাও (এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী) অনেক সময় রাজনৈতিক ঘটনায় কারাগারে গিয়েছিলেন। এই অশান্তি আমরা উপলব্ধি করি। এই দিক থেকে আমি বিএনপি প্রার্থী ডা. শাহাদাতের পরিবারের ব্যথা বুঝি।’

বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘আমি আসলে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বীকে ছোট করে দেখতে রাজি নই। আমি যেমন নির্বাচন করছি, বিপক্ষে যারা নির্বাচন করছে, সবাই সমান প্রতিদ্বন্দ্বী। এখানে কেউ প্রধান প্রতিদ্বন্ধী নয়। একটি রাজনৈতিক দলের চিকিৎসক পেশার মহানগর সভাপতি কারাগারে কী কারণে আছেন, এই ব্যাপারে আমি মন্তব্য করবো না। কিন্তু তিনি দণ্ডিত নন, অভিযুক্ত হিসেবে কারাগারে আছেন। আদালত সেটা বিচার-বিবেচনা করবে।’

প্রসঙ্গত, ডা. শাহাদাতকে গত ৭ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ঢাকায় গিয়েছিলেন দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে। প্রথমে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, পরে কাশিমপুর কারাগারে রাখা হয়। বর্তমানে তার ঠিকানা চট্টগ্রাম কারাগারে। জেল থেকেই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন ডা. শাহাদাত।

নির্বাচিত হলে পাঁচ বিষয়ে প্রাধান্য :

আগামী নির্বাচনে নির্বাচিত হলে পাঁচটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেছেন, ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শিরোনামে আওয়ামী লীগের দলীয় ইশতেহার ঘোষণা করা হয়েছে। দলীয় ইশতেহারই আমার নির্বাচনী ইশতেহার। দলীয় প্রার্থী হিসেবে এর বাইরে যাওয়া সমীচীন নয়। তবে আমি নির্বাচিত হই, কিছু বিষয় প্রাধান্য দেব।’

‘চট্টগ্রামকে ঘিরে যেসব মহাপরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়নে কাজ করব। আমাদের নারী সমাজের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, ক্ষমতায়ন, অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য কাজ করব। সব ধর্মের মানুষের সহাবস্থান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখব। চট্টগ্রাম বন্দর ও ব্যবসা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এখন আমাদের ঢাকায় দৌঁড়াতে হয়, তাই সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিকেন্দ্রীকরণ করব। বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে চট্টগ্রামের সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সবাই সচেষ্ট হব।’

জেডএ/জেআইএম

আরও পড়ুন