ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

‘তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা’ ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি বিএনপির

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:৫৪ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮

নির্বাচন পরিচালনার জন্য ‘তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা’ ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিএনপি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দেয়া ইশতেহারে এ প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল লেকশোরে এ ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। দুর্নীতির মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে ইশতেহার পড়ে শোনান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

১৯ দফা ইশতেহারের ‘গণতন্ত্র ও আইনের শাসন’ শীর্ষক দফার ১০ নম্বর পয়েন্টে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ‘নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটি সরকার ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে যাতে ক্ষমতা কুক্ষিগতকরণের পুনরাবৃত্তি না ঘটে। এই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য অতীতের সমস্যার আলোকে নিরূপণ করা হবে এবং এই লক্ষ্যে সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে স্বচ্ছ আলাপ-আলোচনা করা হবে।’

নতুন ধারার রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইশতেহারে বলা হয়েছে, ‘প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতির বিপরীতে ভবিষ্যৎমুখী এক নতুন ধারার রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করার জন্য নতুন এক সামাজিক চুক্তিতে পৌঁছাতে একটি জাতীয় কমিশন গঠন করা হবে। এই কমিশনের সদস্য থাকবেন সংসদে সরকারি দলের নেতা, বিরোধীদলের নেতা এবং সর্বজনশ্রদ্ধেয় জাতীয় ব্যক্তিত্ব।’

‘একদলীয় শাসনের পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে তা নিশ্চিত করা হবে’ বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে দলটি বলছে, জাতীয় নেতৃবৃন্দের আপত্তিকর সমালোচনা রোধে সহিষ্ণুতার সংস্কৃতি উৎসাহিত করা হবে।

প্রশাসন ও পুলিশের বিষয়ে ইশতেহারে বলা হয়েছে, ‘ব্যক্তির বিশ্বাস-অবিশ্বাস এবং দলীয় আনুগত্যকে বিবেচনায় না নিয়ে কেবলমাত্র সততা, দক্ষতা, মেধা, যোগ্যতা, দেশ-প্রেম ও বিচার ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে রাষ্ট্রের প্রশাসনযন্ত্র, পুলিশ এবং প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যকারিতা নিশ্চিত করা হবে। প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য সংবিধান অনুযায়ী ‘ন্যায়পাল’ নিয়োগ দেয়া হবে।

চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে তদবির ও চাঁদাবাজি নিষিদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইশতেহারে বলা হয়েছে, ‘চাকরি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সকল ধরনের তদবির ও চাঁদাবাজি নিষিদ্ধ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। দেশরক্ষা, পুলিশ ও আনসার ব্যতীত শর্তসাপেক্ষে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনো সময়সীমা থাকবে না।’

দীর্ঘ ১০ বছর ক্ষমতার বাহিরে থাকা দলটি আরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে- সড়ক পথে চলাচলে বিরাজমান বিশৃংখলার অবসান ঘটানো হবে এবং সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্বাত্মক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

এমএএস/এমবিআর/পিআর

আরও পড়ুন