নৌকার প্রার্থীর বাড়ি ঘেরাওয়ের হুমকি আ.লীগ নেতার
চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে মহাজোট মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর বাড়ি ঘেরাওয়ের হুমকি দিয়েছেন ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মুহুরী।
শনিবার (১৫ পিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার বিবিরহাট বাজারে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে র্যালি শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ হুমকি দেন।
আওয়ামী লীগ নেতা নাজিম উদ্দিন মুহুরী বলেন, ‘মহাজোট প্রার্থী নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী অতীতের ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছেন এবং মিথ্যে মামলা দিচ্ছেন। আমরা তাকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করছি। অবিলম্বে এসব মিথ্যে মামলা প্রত্যাহার করা না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। প্রয়োজনে নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর বাড়ি ঘেরাও করে অবরুদ্ধ করে রাখা হবে।’
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ফটিকছড়ি আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এটি এম পেয়ারুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুল হক, আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল বশর চৌধুরী দুদু, কাজী মাহমুদু্ল হক, মোহাম্মদ শফিউল আলম, ফারুক উল আজম, মুজিবুর রহমান স্বপন, সৈয়দ আব্দুল মান্নান, শাহ আলম সিকদার, আমান উল্লাহ চৌধুরী লিটন, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘আমরা নৌকার বিরুদ্ধে নই, কিন্তু নৌকার মনোনয়ন পাওয়া ব্যক্তির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান। বিগত সময়ে ভান্ডারী এমপি নির্বাচিত হয়ে জনকল্যাণে কোনো কাজ করেননি। তার প্রত্যক্ষ মদদে এলাকায় অপরাধ কার্যক্রম বেড়েছে। জনবিচ্ছিন্ন এই ব্যক্তিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাসহ ফটিকছড়ির আপামর জনসাধারণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে, করবে।'
এ সময় ফটিকছড়ির নিরবিচ্ছিন্ন উন্নয়নের জন্য এটিএম পেয়ারুল ইসলামের জন্য আপেল প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন বক্তারা।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনের বাতাস বইবার আগে থেকেই ফটিকছড়িতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দুই ধারায় বিভক্ত। গত দুই বছর ধরে একটি পক্ষ উপজেলা আওয়ামী লীগ অপরটি আওয়ামী পরিবার নাম দিয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। আওয়ামী পরিবার হলো মূলত স্থানীয় এমপি তরকিত ফেডারেশনের সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর অনুকূলে। উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে রয়েছেন ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মুহুরী। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রায় সকল নেতাকর্মী বিদ্রোহী এ টি এম পেয়ারুল ইসলামের জন্য মাঠে নেমেছেন।
সর্বশেষ সোমবার (১০ ডিসেম্বর) মহাজোট মনোনীত নৌকার প্রার্থী সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত সাত নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হন।
জেডএ/এমকেএইচ