ঢাকায় বিজয় র্যালি করবে ঐক্যফ্রন্ট
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আগামী ১৬ ডিসেম্বর রাজধানীতে বিজয় র্যালি করার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঐক্যফ্রন্টের শরিক নেতাদের যৌথসভা হয়। সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘যৌথসভায় আমরা দুটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আাগামী ১৪ ডিসেম্বর যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন এবং আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন।’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘ ১৪ তারিখ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে এবং কালো পতাকা টাঙানো হবে। আমরা সকাল ৮টায় মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে যাব। পুষ্পকস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানাব। ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৮টার দিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে আমাদের মহান বীরদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাব, সেখান থেকে ফিরে আমরা শহীদ জিয়ার মাজার জিয়ারত করব। ওইদিনই বিকেল ৩টায় মহান বিজয় দিবসের বিজয় র্যালির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘র্যালি নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মগবাজার পর্যন্ত যেতে চাই। তবে রাস্তা সংস্কারের কারণে যতদূর যাওয়া যায় ততদূর যাব। বিজয় র্যালি হবে শান্তিপূর্ণ ও বর্ণাঢ্য। এ ছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়, গুলশান চেয়ারপারসনের কার্যালয় এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কার্যালয়ে বিজয় দিবসের আগের রাতে আলোকসজ্জা করা হবে।’
বুধবার সিলেটে শাহজালাল ও শাহপরাণের মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে বিএনপির আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে বলেও জানান নজরুল ইসলাম খান।
বিএনপির নির্বাচন পরিচালনার প্রধান হিসেবে নজরুল ইসলাম খান এবং সদস্য সচিব হিসেবে রুহুল কবির রিজভী আহমেদকে দায়িত্ব দেয়া হয় বলেও জানান তিনি।
এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহর এবং নোয়খালীতে মওদুদ আহমদের নির্বাচনী প্রচারণায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পুলিশের ছত্রচ্ছায়ায় হামলা হয়েছে বলে দাবি করেন নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ‘ঠাকুরগাঁওয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে পুলিশের ছত্রচ্ছায়ায় মহাসচিবের ওপর আক্রমণ করা হয়। খানিকক্ষণ আগে কথা বলেছি হাজার মানুষ প্রতিবাদ মিছিল করছে, এখন থমথমে নয়, গমগমে অবস্থা।’
এক প্রশ্নের জবাবে নজরুল বলেন, ‘সরকার এবং সরকারি দলের লোকেরা পুলিশের সহায়তায় কিংবা ছত্রচ্ছায়ায় যে নির্যাতন, অন্যায় আচরণ করছে তার নিন্দা জানাই। তাদের এই আচরণ আমাদের ভীত সন্ত্রস্ত করছে না। তাদের আমরা জানি। এই সরকারের অধীনে আগেও আমাদের জীবন কাটাতে হয়েছে। এবার তারা এত গুম খুন করেছে, এ জন্য তারা ক্ষমতা হারাতে ভয় পায়। এসব করে তারা বিএনপিকে নির্বাচন থেকে সরাতে চায়। আমাদের মহাসচিবের ওপর আক্রমণ করার পর যা হয়েছে। এরপর আবার হলে জনগণ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে, এটা ঘটবে।’
সংবাদ সম্মেলনে গণফোরাম নেতা সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কেএইচ/জেডএ/এমকেএইচ