আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি : দাবি আব্বাস দম্পতির
ঢাকা-৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী মির্জা আব্বাস এবং ঢাকা-৯ আসনের প্রার্থী তার সহধর্মিনী আফরোজা আব্বাস চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে মির্জা আব্বাসের শাহাজানপুরের বাসায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি করেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘গতকাল (সোমবার) থেকে আমার বাসার সামনে পুলিশ, কখনও সাদা পোশাকে আবার কখনও ইউনিফরমে অবস্থান করছে। আমার আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে কোনো নেতাকর্মী বাসায় আসতে পারছে না। গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত ২০-২৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ অবস্থায় আমি আতঙ্কিত ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।
এতে করে আমি, আমার পরিবার এবং নেতাকর্মীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
তিনি বলেন, ‘সরকার ও নির্বাচন কমিশন বলেছিল- তফসিলের পর কোনো মামলা ও গ্রেফতার হবে না। কিন্তু এরপর থেকেই ১৫০টি গায়েবি মামলা করা হয়েছে। আসামি সাড়ে তিন হাজার। গ্রেফতার হয়েছে ২০০ জন কর্মী। বর্তমানে আমার তিন হাজার কর্মী জেলে।’
নির্বাচন কমিশনের প্রতি অভিযোগ করে বিএনপির এ প্রার্থী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একতরফা দৃষ্টি নিয়ে আছেন। আমরা কিছু করলে আচরণবিধি ভঙ্গ, আর আওয়ামী লীগ করলে কিছু হয় না। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করুন।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বিএনপিকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ। আমার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী উন্মুক্তভাবে নির্বাচনী প্রচারণা করছেন। সেখানে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘পারিবারিক ঐতিহ্য অনুযায়ী দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে গতকাল থেকে আমার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়েছে। আজ বিএনপির মিটিং থাকায় সীমিত আকারে করবো। কাল থেকে জোরালোভাবে প্রচারণা শুরু করবো।’
স্বামী-স্ত্রী দুটি আসনে নির্বাচন করার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, এটা ঢাকা-৬ আসন ছিল। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই আসন ভেঙে টুকরো টুকরো করা হয়েছে। ঢাকা-৬ আসনে আমি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হতাম।
তিনি বলেন, ‘আমি প্রাথী হওয়ার পর থেকে সব জায়গায় বাধার সম্মুখীন হয়েছি। আমি ভাবতে চাই- আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা এসব করেনি। আমি ভাবতে চাই- আমরা দুজন সহজ সরল উদার মনের মানুষের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। তাদের সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে, শত্রুতা নেই। নির্বাচনে আমরা তাদের সহযোগিতা চাই, আমাদের সহযোগিতা চাইলে আমরাও তাদের সহযোগিতা করবো।’
মির্জা আব্বাস বলেন, চার বছর আগে একটা কথা শুনেছি, বলা হয় যে- আমি পুলিশের ওয়েলফেয়ার ভবন করতে দেইনি। কিন্তু আমি বলছি- এখন যে পুলিশ প্লাজা, ওটা আমি করে দিয়েছি। খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন ওখানে আমার অনেক সই-স্বাক্ষর রয়েছে।
পুলিশকে দলীয় আচরণের ঊর্ধ্বে উঠে পেশাদার আচরণ করার আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় আফরোজা আব্বাস বলেন, এখনও লেভেল প্লেইং ফিন্ড তৈরি হয়নি। এ বিষয়ে গণমাধ্যমের কাছে নিরপেক্ষ ভূমিকা আশা করি।
সংবাদ সম্মেলন শেষে মির্জা আব্বাস ও আফরোজা আব্বাস ভোটারদের মাঝে লিফলেট বিলি করেন।
কেএইচ/এমবিআর/জেআইএম