গুলশানের রাজা হতে চান নাজমুল হুদা
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ শুরু হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে ঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে ১৫টি আসনের প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দের মধ্যে দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
ঢাকা-১৭ (গুলশান, বনানী, ভাষানটেক, ক্যান্টনমেন্ট) আসনের প্রার্থী হিসেবে নিজের প্রতীক বরাদ্দ নিয়েছেন তৃণমূল বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা।
সিংহ প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘যদি আমি নির্বাচিত হই জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই স্থানীয় নির্বাচনী এলাকায় কাজ করবো। জনগণের দাবি-দাওয়া সব সময় প্রাধান্য দেবো এবং পূরণ করার সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। আমার প্রতীক সিংহ। সিংহ যেমন বনের রাজা, আমিও চাই গুলশানে রাজা হতে।’
এদিকে ঢাকা-১৭ আসনে অনেক জনপ্রিয় প্রার্থীরা নির্বাচন করছেন। তাই এই আসনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং চ্যালেঞ্জিং। এই আসনে লড়ছেন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত প্রার্থী চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক (নৌকা প্রতীকে), জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ (লাঙল প্রতীকে), তৃণমূল বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা (সিংহ প্রতীকে), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) আন্দালিব রহমান পার্থ (ধানের প্রতীকে)।
এদিকে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ শুরু হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে ঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে ১৫টি আসনের প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দের মধ্যে দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রার্থীরা এসে তাদের প্রতীক বরাদ্দ নিচ্ছেন।
প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দিচ্ছেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কে এম আলী আজম। এ কার্যালয় থেকে ঢাকা-৪ থেকে ঢাকা-১৮ আসনের প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ নভেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়। মোট ৩ হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো থেকে জমা পড়ে মোট ২ হাজার ৫৬৭টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ৪৯৮টি মনোনয়নপত্র। যাচাই-বাছাইয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক যাদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছিল পরে তাদের মধ্যে ২৪৩ জন তাদের প্রার্থিতা ফেরত পেয়েছেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। প্রতীক বরাদ্দ হলেই প্রচার উৎসবে নামতে পারবেন প্রার্থীরা। প্রচারের সময় যাতে আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন না হয়, সেজন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
এএস/এআর/এমবিআর/জেআইএম