আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন বিএনপির মোরশেদ খান
মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খান।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশনের আপিল শুনানির তৃতীয় দিন শনিবার সকালে তার প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়।
এর মধ্য দিয়ে এ আসেনে বাতিল হওয়া দুই বিএনপি প্রার্থীই প্রার্থিতা ফিরে পেলেন। গতকাল শুক্রবার আপিল শুনানিতে প্রার্থিতা ফিরে পান আরেক বিএনপি প্রার্থী এরশাদউল্লাহ।
গত ২ ডিসেম্বর বিদ্যুৎ বিভাগের ৩০ লাখ টাকার বিল খেলাপির দায়ে বিএনপি প্রার্থী ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খানের মনোনয়ন বাতিল করেন চট্টগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তা। রিটার্নিং কর্মকর্তার ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে আজ শুনানি শেষে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন তিনি।
এম মোরশেদ খানের কাছে বিদ্যুৎ বিভাগের ৩০ লাখ টাকারও বেশি পাওনা রয়েছে বলে আপত্তি তোলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তবে মোরশেদ খানের আইনজীবীরা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের জানান, মোরশেদ খানের কাছে বিদ্যুৎ বিভাগের কোনো ব্যক্তিগত পাওনা নেই। ওনার নামে সব বিল ক্লিয়ার আছে। যেসব পাওনা আছে ওসব কোম্পানির নামে। ২ লাখ ১২ হাজার ১৫৩ টাকার বিলের বিষয়ে আদালত থেকে এম মোরশেদ খানের তিনমাসের স্থগিতাদেশও নেয়া আছে।
তবে সেদিন রিটার্নিং কর্মকর্তারা জানান, কোম্পানি ব্যক্তি কর্তৃক পরিচালিত হয়। তাই মোরশেদ খানের মনোনয়নপত্রটি বাতিল। কিন্তু আজ আপিল শুনানিতে এম মোরশেদ খানের আইনজীবীর বক্তব্যকে আমলে নেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর বিচারিক প্যানেল।
এ ছাড়া মোরশেদ খান হলফনামায় তার শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর উল্লেখ করলেও তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ জমা না দেয়ার বিষয়টি নিয়েও আপত্তি ছিলে চট্টগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের। তবে মোরশেদ খানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে সব সনদ পুড়িয়ে ফেলেছে।
উল্লেখ্য, এম মোরশেদ খান চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী) আসন থেকে ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টি থেকে এবং ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এনএফ/আরআইপি