মির্জা আব্বাসের মনোনয়ন বাতিল চাইলেন মেনন
হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের মনোনয়নপত্রের বৈধতার বিরুদ্ধে আপিল করেছেন একই আসনের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী রাশেদ খান মেনন।
তারা দুজনই ঢাকা-৮ আসন থেকে নির্বাচন করছেন। ১৪ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মেনন থাকলেও আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী নেই। এ আসনে ২২টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল, বাছাইয়ে সাতজনের মনোনয়ন বাতিল হয়।
আরও পড়ুন >> আব্বাসের মনোনয়ন : হাইকোর্টের আদেশ স্থগিতে ইসির আবেদন
বুধবার নির্বাচন কমিশনের কাছে মেননের পক্ষে আবেদনটি জমা দেন আইনজীবী জিয়াদ আল মামুন। পরে জিয়াদ আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগে মির্জা আব্বাসের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে রাশেদ খান মেননের পক্ষে নির্বাচন কমিশনে আপিল করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মির্জা আব্বাস হলফনামায় তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের ঋণখেলাপির বিষয়টি গোপন করেন। এছাড়া মির্জা আব্বাস হলফনামায় লেখেন, তার স্ত্রী তার কাছে ৭৩ লাখ টাকার বেশি পাবেন। আবার স্ত্রী লিখেছেন, তিনি তার স্বামীর কাছে এক কোটি টাকা পাবেন। এটি বিভ্রান্তিকর তথ্য।’
ঢাকা-৮ আসনে ১৫ বৈধ প্রার্থী হলেন- জেএসডির এম এ ইউসুফ, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, বিএনএফের আবদুস সামাদ সুজন, বাসদের শম্পা বসু, এনপিপির ছাবের আহম্মেদ, পিডিপির আবুল কালাম আজাদ, মুসলীম লীগের হাসনা হোসেন, গণফ্রন্টের জাকির হোসেন, বিএনপির মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, ইসলামী আন্দোলনের আবুল কাশেম, জাকের পার্টির নজরুল ইসলাম লিটন, ন্যাপের সুমি আক্তার শিল্পী, ঐক্যজোটের আবু নোমান মোহাম্মদ জিয়াউল হক মজুমদার, জাতীয় পার্টির ইউনুস আলী আখন্দ ও মিনি খান।
আরও পড়ুন >> মির্জা আব্বাসের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ
রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক মনোনয়ন বাতিল হওয়াদের বুধবারের মধ্যে আপিল করতে হবে। আজ আপিলের শেষদিন। আগামীকাল অর্থাৎ ৬ ডিসেম্বর থেকে প্রার্থীদের আপিল গ্রহণের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ৯ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এইচএস/এমএআর/এমএস