ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

দুই ওসিকে প্রত্যাহারের দাবি বিএনপির

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১০:৪৫ পিএম, ০৩ ডিসেম্বর ২০১৮

পুলিশের দুই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে বিএনপি। তারা হলেন- দিনাজপুর কোতোয়ালী থানার ওসি রেদওয়ানুর রহিম এবং কক্সবাজারের টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এ অভিযোগ করে বলেন, ‘দিনাজপুর কোতোয়ালী থানার ওসি রেদওয়ানুর রহিম নির্বাচনী আচরনবিধি লঙ্ঘন করে চলেছেন। তিনি সারা কোতোয়ালীতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। একইভাবে কক্সবাজার জেলাধীন টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাসও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন। আমরা তাদের প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।’

সোমবার রাতে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।

রিজভী বলেন, ‘গতকাল (রোববার) মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের দিন রাজশাহীর রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিসি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী ও খ্যাতিমান আইনজীবী এবং রাজশাহী-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। সম্পূর্ণ বেআইনি ও রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যেই তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। মনোনয়নপত্র বাতিলের পর আপিলের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রিটার্নিং অফিসার ব্যারিস্টার আমিনুল হক সাহেবকে হস্তান্তর করছেন না। তবে আগামীকালও (মঙ্গলবার) কাগজপত্র দেয়া হবে কি না এ বিষয়ে সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ আছে। আগামীকালও যদি কাগজপত্র দেয়া হয় তাহলে ঢাকায় এসে আপিল করা তার জন্য দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে।’

তিনি বলেন, ‘ব্যারিস্টার আমিনুল হকের মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্তের কাগজপত্র আটকে রাখা গভীর চক্রান্ত ছাড়া আর কিছুই নয়। কোনোভাবেই ব্যারিস্টার আমিনুল হককে আটকাতে না পেরে বানোয়াট কাহিনি রচনা করে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে এখন বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও না দেয়ার উদ্দেশ্যই হলো- তিনি যেন আপিলের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার আনীত কাল্পনিক অভিযোগ খণ্ডন করতে না পারেন। রাজশাহী বিএনপির জনপ্রিয় রাজনীতিবিদদের আসন্ন নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য আমি রাজশাহীর রিটার্নিং অফিসারের সরকারি নির্দেশ পালনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একইভাবে রাজশাহী-৫ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নাদিম মোস্তফাও আসন্ন সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন, কিন্তু তারও মনোনয়নপত্র রিটার্নিং অফিসার বাতিল করেছেন। নাদিম মোস্তফা মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্তের জাবেদা নকল তুলতে তাৎক্ষণিক আবেদন করেছিলেন, কিন্তু রিটার্নিং অফিসার টালবাহানা করে আজও জাবেদা নকল সরবরাহ করেননি। আগামীকাল (মঙ্গলবার) কখন সেটি পাওয়া যাবে এবং কখন তিনি রাজশাহী থেকে ঢাকা রওনা হবেন সেটিরও কোনো নিশ্চয়তা নেই। রিটার্নিং অফিসার খুব নিখুঁতভাবে পাটিগণিতের অঙ্ক কষেই বিএনপি নেতাদের মনোননয়নপত্র বাতিল করেছেন এবং বাতিলের সিদ্ধান্তের জাবেদা নকলও আটকে রাখছেন। উদ্দেশ্য একটাই বিএনপির প্রার্থীরা যেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপিল করতে না পারে।’

রিজভী বলেন, ‘সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রিটার্নিং অফিসাররা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে আন্তরিক নন। তারা সরকারের মুখ চেয়েই কাজ করছে। তারা ইনক্লুসিভ নির্বাচন অপেক্ষা আওয়ামী রাজনৈতিক স্বার্থের দিকেই মনোযোগী বেশি। তারা মানুষের ক্ষোভ টের পাচ্ছেন না। এই রিটার্নিং অফিসারদের কারণেই এ দেশের ক্ষণজন্মা দেশপ্রেমিক স্বাধীনতার ঘোষক ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তনকারী সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের পরিবারের কাউকে নির্বাচন করতে দেয়া হচ্ছে না। এই রিটার্নিং অফিসাররাই শহীদ জিয়ার সহধর্মিণী ‘গণতন্ত্রের মা’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন। আমরা দেশবাসী এই অন্যায়, এই অবিচার কখনওই ভুলব না। জনগণের স্মৃতির পর্দা ঝাপসা নয়। অপমানিত জনগণ একদিন সব অন্যায় কড়ায়-গণ্ডায় আদায় করে নেবে।’

কেএইচ/জেডএ/বিএ

আরও পড়ুন