আয় কমলেও হাজি সেলিমের সম্পদ বেড়ে দ্বিগুণ
ঢাকা-৭ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তিনি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে এমপি হয়েছিলেন। এবার অবশ্য একই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। তার নাম হাজি সেলিম। বিগত পাঁচ বছরে তার আয় কমেছে। অথচ সম্পদ বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। এ তুঘলকি কাণ্ড ঘটেছে তার ক্ষেত্রে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেয়া হলফনামায় এমনটি উল্লেখ করেছেন তিনি। হলফনামায় হাজি সেলিমের আয়ের উৎস উল্লেখ করা হয়েছে, বাড়ি/এপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া থেকে ৬৬ লাখ ৯৭ হাজার ১০৫ টাকা পান। আর ব্যবসা থেকে তিনি পান ১ কোটি ১৬ লাখ ৬২ হাজার ৭৪ টাকা।
এ ছাড়া অন্যান্য সম্মানি ভাতা আসে ৫৭ লক্ষ ৩ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে বছরে তিনি ২৪ কোটি ৬২ লাখ ১৭৯ টাকা আয় করেন। যেখানে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এ নেতার দেয়া হলফনামা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তখন বাড়ি/এপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া বাবদ তিনি পেতেন ৫২ লাখ ৪১ হাজার ৪৮৮ টাকা। ব্যবসা থেকে তার বাৎসরিক আয় ছিল ১ কোটি ৬০ লাখ ১৫ হাজার ৭৬২ টাকা। শেয়ার ছিল ৩৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৬৮ টাকার। এছাড়া চাকরি ক্ষেত্র থেকে তার আয় ছিল ৪৯ লাখ ৬০ হাজারা টাকা। সব মিলিয়ে তখন তার বাৎসরিক আয় ছিল ৩০ কোটি ১৫ লাখ ৬১৮ টাকা।
অন্যদিকে হাজি সেলিমের সম্পদের হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিগত নির্বাচনের হলফনামায় তার ব্যক্তিগত অস্থাবর সম্পদ ছিল ২৭ কোটি ৯২ লাখ ৪৩ হাজার ২৩৮ টাকার এবং স্থাবর সম্পদ ছিল ১৬ কোটি ৮২ লাখ ৪৯ হাজার ৬২৭ টাকার।
আর এ নির্বাচন ঘিরে দাখিল করা হলফনামায় তার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে ৫২ কোটি ১৫ লাখ ২৮ হাজার ৬১৮ টাকা, স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ১৮ কোটি ৪৭ লাখ ৯ হাজার ৬২৮ টাকার, যা ৫ বছর আগের সম্পদের হিসাব থেকে প্রায় দ্বিগুণ।
উল্লেখ্য, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল গত ২৮ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর।
এইচএস/আরএস