এরশাদের ৬ গুণ বেশি আয় রওশনের
নির্বাচনী হলফনামায় এরশাদ অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে দেখিয়েছেন, নগদ ২৮ লাখ ৫৩ হাজার ৯৯৮ টাকা। আর তার স্ত্রী রওশন এরশাদের হাতে নগদ দেখানো হয়েছে ২৬ কোটি ২০ লাখ ২৯ হাজার ২৩৩ টাকা, যা এরশাদের উল্লেখিত হাতে নগদের প্রায় ছয় গুণ!
এ ছাড়া ব্যাংক ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জাপা চেয়ারম্যানের ৩৭ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬ টাকা জমা রয়েছে। শেয়ার মার্কেটে দেশের এ শীর্ষ রাজনীতিকের ৪৪ কোটি ১০ হাজার টাকা রয়েছে।
এরশাদ ব্যবসা থেকে বছরে মাত্র ২ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা আয় করেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ হিসাবে তার মাসিক আয় দাঁড়ায় মাত্র ১৭ হাজার ২০৮ টাকা।
আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ ও রংপুর-৩ আসনের প্রার্থী হতে গত বুধবার সংশ্লিষ্ট এলাকার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন সাবেক এ রাষ্ট্রপতি।
হলফনামায় পেশার বিবরণীতে তিনি উল্লেখ করেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। শিক্ষাগত যোগ্যতা লেখা হয়েছে বিএ পাস।
হলফনামায় আয়ের উৎস বিবরণী থেকে জানা যায়, কৃষিখাত, বাড়ি-অ্যাপার্টমেন্ট-দোকান বা অন্যান্য ভাড়া, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত বাবদ এরশাদের কোনো আয় নেই।
তবে তিনি রাষ্ট্রীয় বিশেষ দূত হিসেবে বাৎসরিক সম্মানী পান ১৯ লাখ ৪ হাজার ৬৯৬ টাকা। এ ছাড়া সংসদ সদস্য হিসেবে জাপা চেয়ারম্যানের বাৎসরিক সম্মানী ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আর ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের সম্মানী হিসেবে পান ৭৪ লাখ ৭১ হাজার ১০ টাকা।
এএসএস/এনডিএস/পিআর