ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

বিএনপি-জামায়াত ও নীতিহীন কামালদের নির্বাচনী প্রতীক একই

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:২৮ পিএম, ৩০ নভেম্বর ২০১৮

যুদ্ধাপরাধী জামায়াত, বিএনপি আর নীতিহীন ড. কামাল সাহেবদের নির্বাচনী প্রতীক একই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির মহড়া কক্ষে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ আয়োজিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি, জঙ্গিবাদ এবং উন্নয়ন বিরোধী চক্রের মূলোৎপাটন' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনে যাদের নিবন্ধন বাতিল হয়ে গেছে, যাদের এখন কোনো প্রতীক নাই সেই জামায়াতের ২৫ জনকে মনোনয়নের মাধ্যমে ধানের শীষ প্রতীক দিয়ে তাদেরকে নির্বাচনী বৈতরণী পার করার সুযোগ করে দিয়েছে বিএনপি। আর বিএনপি-জামায়াতের ত্রাণকর্তা হিসেবে অাবির্ভূত হয়েছেন নীতিহীন ড. কামাল হোসেন সাহেব, মাহমুদুর রহমান মান্না, আ স ম রব, কাদের সিদ্দিকীসহ অন্যান্যরা। তারা প্রথম থেকেই বলে আসছিলেন জামায়াতের সঙ্গে কোনো ঐক্য হবে না। আর এখন তারাই ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচনে যাচ্ছেন এবং সেখানে জামায়াতকেও ধানের শীষ প্রতীক দেয়া হয়েছে। সুতরাং এখন জামায়াত, বিএনপি আর ঐক্যফ্রন্টের ড. কামাল হোসেন, মাহমুদুর রহমান মান্না, অা স ম রবরা একই প্রতীকে নির্বাচন করছেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, অং সাং সুচি মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত হওয়ায় কানাডা তার নাগরিকত্ব বাতিল করেছে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া সম্মাননা কেড়ে নিয়েছে এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ, প্রতিষ্ঠান থেকে দেয়া সম্মাননা বাতিল করে দেয়া হয়েছে। সুতরাং আজকে যে সব মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে একই প্রতীকে নির্বাচন করছে, দেশের সমগ্র মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি করা উচিৎ সেই সমস্ত মুক্তিযোদ্ধাদের খেতাব কেড়ে নেয়া। কারণ তারা মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করেছে।

এ সময় শিক্ষকদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আসুন স্বাধীনতাবিরোধী, জঙ্গিগোষ্ঠী যারা রাজনীতির নামে মানুষ পুড়ায়, রাজনীতির নামে জনগণের সম্পত্তি পুড়ায় তাদের আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে বর্জন করি এবং বাংলাদেশে তাদের রাজনীতির কবর রচনা করি।

আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. শাহজাহান আলম সাজুর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি, অভিনেতা ও শিক্ষাবিদ ড. ইনামুল হক প্রমুখ।

এইউএ/জেএইচ/পিআর

আরও পড়ুন