নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কোচেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম বলেছেন, সব দলের অংশগ্রহণে যে নির্বাচন হচ্ছে তাতে যুক্তরাষ্ট্র সন্তুষ্ট।
বুধবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দুই মার্কিন কর্মকর্তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসা ওই দুই কর্মকর্তা হলেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাউন্সিলর বিল মোলার ও যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা কাজী রুম্মন দস্তগীর।
এ সময় দলের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এইচ টি ইমাম, ড. মসিউর রহমান, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য এস এম কামাল হোসেন, আন্তর্জাতিক উপ-কমিটির সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হতে যাচ্ছে এ ব্যাপারে মার্কিনদের প্রতিক্রিয়া কী জানতে চাইলে এইচ টি ইমাম বলেন, ‘এটা হচ্ছে ওদের কাছে সবচেয়ে বড় সন্তোষ। ওরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট। এমন কোনো দল নাই যারা এবার অংশগ্রহণ করছে না। আমরা বলছি, আমাদের সব ঠিকঠাক হয়ে গেছে।’
বৈঠকের এজেন্ডা তুলে ধরে এইচ টি ইমাম বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সব থেকে আনন্দের কথা যে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা যে সমস্ত কথা বলেন, আমরা চাই একটি অংশীদারিত্বও অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন করুক। একটি সুষ্ঠু, অবাধ এবং অত্যন্ত স্পষ্ট নির্বাচন, যেটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এ আদর্শগুলো মার্কিনরাও ধারণ করে। তাদের সঙ্গে আমাদের মতের যথেষ্ট মিল আছে। এই জন্যই তারা এখানে এসেছেন।’
তিনি বলন, ‘তারা বলছেন, আমরা অত্যন্ত খুশি। সংলাপ হয়েছে। এ ডায়ালগে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সকলকে যেভাবে নিয়ে এসেছে, ওদের যা কিছু বলার ছিল তারা প্রকাশ্যেই বলে ফেলেছেন। সরকারের বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের ক্ষোভের জায়গাগুলো তারা বলেছেন এবং সরকার হাসিমুখে নিয়েছেন। যা যা করার দরকার ছিল, যে প্রতিশ্রুতি জননেত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছিলেন আমরা সে প্রতিশ্রুতিগুলো পালন করছি। আমরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির চেষ্টা করছি সর্বাত্মকভাবে।’
ইউরোপীয় ইউনিয়ন পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র কেন পাঠাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র অবজারভার পাঠাবে। ওরা সব জায়গাতেই পাঠায়। ওরা বলছে, নির্বাচন কেমন হয় দেখব? সত্যিকার সুষ্ঠ হয় কি না? ওদের তো কতগুলো থিঙ্ক ট্যাংক আছে। যুক্তরাষ্ট্র আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন এক নয়।’
আওয়ামী লীগের এ উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে নির্বাচন হয়। এরকম নির্বাচন কিন্তু অনেক দেশেই হয় না। এটা আমাদের গর্ব করার জিনিস। এই জন্যই ওরা আসে।’ ‘তারা সকলেই বলছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটা অন্য স্টান্ডার্ড আছে। সেই স্টান্ডার্ডের জন্য, এ উচ্চতার মানের জন্যই তারা এখানে আসেন। তারা আরও সম্পর্ক গভীরতর করতে চান। আমাদের সরকার আরও ভালোভাবে শক্তিশালী হোক। এখানে তারা আরও বিনিয়োগ করবেন এমন অনেক কিছু ব্যাপার আছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টিতে আমরা সকলেই একসঙ্গে কাজ করবো, যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনেক অবজারভার আসবেন। আমরা তাদেরকে বলেছি, অবজারভার যেখানে যাবেন, তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের। কাজেই আপনারা তালিকা দিয়েন। আগে থেকেই জানাবেন কোথায় তারা যাবেন কি কি কাজ করবেন, এগুলো জানা দরকার।’
এইউএ/এএইচ/আরআইপি