ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায়’ : বিএনপি নেতার লাশের বিষয়ে কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:০৬ পিএম, ২৩ নভেম্বর ২০১৮

যশোর জেলা বিএনপির সহ সভাপতির লাশ বুড়িগঙ্গা থেকে উদ্ধারে বিষয়ে দলটির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, যশোরের কোনো প্রার্থীর বুড়িগঙ্গা নদীতে লাশ -এর মানে তো ‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায়’। এটা ওদের (বিএনপি) নিজস্ব কোন্দলের কারণেও হতে পারে।

শুক্রবার সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, কারও সঙ্গে কোন্দলের কারণে তারা উনাকে মারতে পারে। কিন্তু সেখানে আওয়ামী লীগের কি স্বার্থ থাকতে পারে। যশোরের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের লাশ বুড়িগঙ্গায় কেন পাওয়া গেল তা খতিয়ে দেখতে হবে। তাদেরও তো অনেক মনোনয়ন প্রত্যাশী আছে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে -এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংখ্যা তত্ত্বের হিসেবে আমরা ওভার ওল.. এটুকু বলতে পারি, হিসেবের অংকে আগামী নির্বাচনে আমাদের দল ও জোট বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। তবে এসব কথা বলা উচিত নয়, এতে জনগণকে অসম্মান করা হয়। জনগণ আমাদের যত আসনে ভোট দেবে আমরা ততই পাব। আমরা কোনো সংখ্যা তত্ত্বে বিশ্বাস করতে চাই না। কে কত আসন পাবে দেশের জনগণই তা ঠিক করবে।

বিএনপিকে স্বপ্ন বিলাসী দল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর আগে নির্বাচনে বিএনপি আমাদের ৩০ আসন দিয়েছিল, তবে নিজেই পেয়েছিল ৩০ আসন। এবার তাদের কেউ কেউ আমাদের ১০ আসনও দিয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে যে জোয়ার দেখা যাচ্ছে সারাদেশে তাদের এ জোয়ার কিন্তু নেই। এ সাময়িক জোয়ারে যদি বিএনপি নেতারা ক্ষমতার রঙিন খোয়াব দেখেন, তাহলে ৩০ ডিসেম্বর টের পাবেন।

নির্বাচন ঘিরে বিএনপি নেতাদের হয়রানি করা হচ্ছে -বিএনপির এমন অভিযোগে বিষয়ে করা এক প্রশ্নে তিনি বলেন, তাদের নয়াপল্টনে একজন আবাসিক প্রতিনিধি রয়েছে। এ ধরনের আজগুবি অভিযোগ তিনি করেন। এটা হচ্ছে মিথ্যাচার প্রডাকশনের জন্যই। জনমত পক্ষে না থাকলে প্রশাসন ও এস্টাব্লিশমেন্ট দিয়ে কোনো ম্যাকানিজম কাজ করবে না।

নাশকতা নিয়ে কোনো শঙ্কা করছেন কি না -এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নাশকতা করা বিএনপির পুরনো স্বভাব। ২০১৪ সালে তারা যে নাশকতা করেছে, যে ভয়াবহ চিত্র তারা দেখিয়েছে। শীতকালে নির্বাচন হওয়ায় নাশকতার শঙ্কা থাকেই।

শরীকদের সঙ্গে আসন ভাগ নিয়ে কোনো টানাপোড়েন হয়েছে কি না -এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসন নিয়ে দরকষাকষি তো হবেই। এটা গণতন্ত্রের অংশ। তবে কোনো টানাপোড়েন নেই। এখানে তো বানরের পিঠা ভাগ করে লাভ নেই। তবে সব কিছুই আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই আছে। এখানে কে কত সিটে জিততে পারবে, এটাই হলো আমাদের প্রাইম কনসিডারেশন। যারা ইলেক্টেবল ও ইউনেবল তাদের আমরা সিলেক্ট করব।

মহাজোটের সঙ্গে আসন বণ্টান চূড়ান্ত হয়েছে কি না? -এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মৌখিকভাবে হয়েছে। যখন ঘোষণা হবে তখন তো আপনারা পেয়ে যাবেন।

শরীকদের কে কত আসন পেতে পারে সে বিষয়ে কোনো আভাস দেয়া যায়? -এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা আমি একটা অনুমান করতে পারি। আমি বারবার বলেছি প্রার্থীকে ইলেক্টেবল হতে হবে, ইউনেবল হতে হবে। সে ক্ষেত্রে ৬৫-৭০ এর জায়গায় ২/৪টা বারতেও পারে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, আইন বিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, উপ দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বেচ্ছা সেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কাউসার, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এইউএ/আরএস/পিআর

আরও পড়ুন