এখনও সরেনি ব্যানার-ফেস্টুন
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বেঁধে দেয়া সময়সীমা শেষ হলেও এখনও অপসারণ করা হয়নি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ‘নৌকা মার্কায় ভোট’ চাওয়ার পোস্টার-ব্যানার-ফেস্টুন। রাজধানীর সড়ক ও ভবনের দেয়ালে এখনও শোভা যাচ্ছে এ সব পোস্টার-ব্যানার। পোস্টার দেখা গেছে ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবনের বিপরীতেও।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় সরেজমিন রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে বছিলা সড়কে নৌকার বড় একটি তোরণ দেখা যায়। তোরণে স্থানীয় সংসদ সদস্যের ছবি ও নাম থাকলেও সেটি ফেলে দেয়া হয়েছে, তবে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকটি এখনও রয়ে গেছে।
গত ১১ নভেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচন কমিশন ১৮ নভেম্বর রোবাবার রাত ১২টার মধ্যে ‘নিজ খরচে’ রাস্তাঘাট, যানবাহন, মার্কেট, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা থেকে সব নির্বাচনী প্রচার সামগ্রী সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়। তবে সোমবার বিকেল পর্যন্ত অনেক সড়কে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের প্রার্থীদের পোস্টার-ফেস্টুন দেখা গেছে।
এদিন দুপুরে পুরান ঢাকার বংশাল, ইংলিশ রোড এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-৭ আসনের ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থী হাজী মোহাম্মদ সেলিম (বর্তমান সংসদ সদস্য), ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও আলহাজ মো. হুমায়ূন কবিরের পোস্টারে ছেয়ে গেছে গোটা এলাকা। মূল সড়কের পোস্টারগুলো অপসারণ করা হলেও ভেতরের সড়কগুলোতে এখনও রয়ে গেছে তাদের নির্বাচনী প্রচার সামগ্রী।
রাজধানীর কমলাপুর, মতিঝিল, মুগদা, বিজয়নগর, সেগুনবাগিচা এলাকাজুড়ে দেয়ালে ঢাকা-৯ আসনের এমপি পদপ্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন সরকার পলাশ, মো. মোজাহারুল ইসলাম সোহেল, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, মাহমুদুল হক জেমস, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হাজী সাইফুদ্দিন আহম্মেদ মিলনের পোস্টার দেখা গেছে।
রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন, রমনা, মগবাজার, ইস্কাটন এলাকাজুড়ে ঢাকা-৮ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, হুমায়ুন কবির (সুজন), আসমা জেরিন ঝুমুর পোস্টার রয়েছে।
ফুলবাড়িয়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) নগরভবনের বিপরীতের দেয়াল ছেয়ে গেছে ঢাকা-৭ আসনের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী আলহাজ আবুল হাসনাতের পোস্টারে।
নির্ধারিত সময়ে পোস্টার না সরালে সিটি কর্পোরেশনকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এম এ রাজ্জাক জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি। যেসব এলাকায় নির্বাচনী পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন রয়েছে ইতোমধ্যে সেগুলো অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে লক্ষ্যে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৮ নভেম্বর, যাচাই-বাছাই ২ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৯ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর। এদিন থেকে প্রার্থীরা প্রতীক নিয়ে প্রচার করতে পারবেন।
এআর/এসআই/এনডিএস/আরআইপি