কারাগারে এম কে আনোয়ার
কুমিল্লায় পেট্রলবোমা হামলার মামলায় আদালতে হাজির হলে জামিন না মঞ্জুর করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও জেলার হোমনা-তিতাস সংসদীয় আসনের সাবেক সাংসদ এম কে আনোয়ারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি উচ্চ আদালতের নির্দেশে চৌদ্দগ্রামে গত ৩ ফেব্রুয়ারি নৈশকোচে পেট্রলবোমা হামলায় আট যাত্রী নিহতের মামলায় কুমিল্লার পাঁচ নং আমলী আদালতে হাজিরা দেন। এসময় আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুর এলাকায় আইকন পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রলবোমা হামলায় আটজন যাত্রী নিহত হন। এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় দায়ের করা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশে ৩ আগস্ট কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার।
এম কে আনোয়ারের আইনজীবী কাইমুল হক রিংকু ও মো. হারুনুর রশিদ জাগো নিউজকে জানান, উচ্চ আদালত সাত দিনের মধ্যে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার জন্য এম কে আনোয়ারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু মামলার মূল নথি কুমিল্লার আদালতে না পৌঁছায় গত ৩ আগস্ট এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মঙ্গলবার তিনি কুমিল্লার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নালিশী আদালত-৫ এর বিচারক মো. আ স ম শহীদুল্লা কায়সারের আদালতে হাজির হলে তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি পেট্রলবোমা হামলায় আট জন নিহতের ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান হাওলাদার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় প্ররোচনাদাতা হিসেবে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, দলের কেন্দ্রীয় নেতা এম কে আনোয়ার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, রিজভী আহমেদ, সালাউদ্দিন আহমেদ, শওকত মাহমুদ, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা ও স্থানীয় সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, যুবদলের কেন্দ্রীয় সদস্য কামরুল হুদাসহ ৫৬ জনকে আসামি করা হয়।
মো. কামাল উদ্দিন/এমজেড/পিআর