বিএনপির কাছে চট্টগ্রামের পাঁচটি আসন চাইছে শরিকরা
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২৩ দলীয় জোটের নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণার পরপরই চট্টগ্রামের ভোটারদের মধ্যে আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে এই দুই জোটের আসন বণ্টন নিয়ে। ইতোমধ্যে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২৩ দলীয় জোটের শরিক দলগুলো চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে ৫টি আসন দাবি করেছে।
জোট সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঐক্যফ্রন্ট ও ২৩ দলীয় জোটের শীর্ষ দল বিএনপির কাছে শরিকরা নিজ নিজ দলের পক্ষে আসন চেয়ে ইতোমধ্যেই চিঠি দিয়েছে। বিএনপিও শরিক দলগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক কিছু আলোচনার ভিত্তিতে সারাদেশে ৫০ থেকে ৬০টি আসন শরিকদের দিতে মানসিক প্রস্তুতি নিয়েছে।
এ ক্ষেত্রে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ ব্যক্তি ড. কামাল হোসেনের গণফোরামের কাছ থেকে আসনের জন্য ততটা চাপ নেই। আসনের প্রধান দাবি আসছে ২৩ দলীয় জোটের শরিকদের কাছ থেকে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনের পাঁচটিই চাইছে ২৩ দলীয় জোটের তিন শরিক দল।
চট্টগ্রামে ২৩ দলীয় জোটের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কর্নেল (অব.) অলি আহমদের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের একটি আসন দাবি করা হয়েছে। মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিমের বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির পক্ষ থেকেও চট্টগ্রামের একটি আসন দাবি করা হয়েছে। তবে নিবন্ধন হারানো জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রামের তিনটি আসনে লড়ার ঘোষণা দিয়ে ইতিমধ্যেই রোববার জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে মনোনোয়নপত্র সংগ্রহ করেছে।
চট্টগ্রামে যেসব আসন চায় ২৩ দলীয় জোটের শরিকরা :
চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে জামায়াতে ইসলামী ৩টি, এলডিপি ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি করে আসন চেয়েছে। সেগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী ও বায়েজিদ) আসনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম বীরপ্রতীক, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে সাবেক এমপি মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাহাড়তলী) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী ও চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে বাঁশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম নির্বাচনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
সেই ৫ আসনে কার অবস্থান কেমন :
চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে জামায়াতের দাবিকৃত তিনটি আসনের মধ্যে চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং) ও চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। অপর আসন চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) থেকে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছিলেন জামায়াতের প্রার্থী। চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনটি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নিজের আসন। এ আসন তেকে তিনি এর আগে ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী ও বায়েজিদ) আসনে মনোনয়ন দাবি করা বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম নির্বাচনি মাঠে এবারই প্রথম। এ আসনে বিএনপির কয়েকজন শক্তিশালী প্রার্থী রয়েছেন।
এমবিআর/পিআর