অর্ধশতাধিক আসন চায় বিএনপির পুরনো মিত্ররা
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আসন বণ্টন চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২৩ দলীয় জোট। আজ সন্ধ্যায় জোটের বৈঠকে এই বণ্টন চূড়ান্ত হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি। তবে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি-না তা এখনও স্পষ্ট করেনি।
জানা গেছে, বিএনপির কাছে জোটের নিবন্ধিত ৭টি দল শরিকদের থেকে ১৩টি আসন চাইবে। এ ছাড়া অনিবন্ধিত অধিকাংশ দলগুলো বিএনপির হয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ইচ্ছে পোষণ করলেও নিবন্ধন হারানো জামায়াতে ইসলামীর দাবি ৪০টি আসন।
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি বিজেপির দাবি দুটি আসন। একটি দলটির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থের জন্য আরেকটি মহাসচিব আব্দুল মতিন সউদ এর জন্য।
পার্থ ভোলা-১ অথবা ঢাকা-১৭ আসন থেকে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইচ্ছুক। আর সউদ ঢাকা-৫ আসন থেকে।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপির) দাবি ৩টি আসন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান অলি আহমদের জন্য চট্টগ্রাম-১৪, মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদের জন্য কুমিল্লা-৭ এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদৎ হোসেন সেলিমের জন্য লক্ষ্মীপুর-১ আসন।
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি চায় দুটি আসন। তার মধ্যে চট্টগ্রাম-৫ আসনে দলটির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম এবং মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান পাবনা-১।
জাতীয় গণতন্ত্রিক পার্টি জাগপার দাবি একটা। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাসমিয়া প্রধান পঞ্চগড়-২ আসনের দাবিদার।
বাংলাদেশ মুসলিম লীগের কামরুজ্জামান খান খসরু কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে নির্বাচন করতে চান।
জোটের শরিক নিবন্ধিত ইসলামপন্থী দলগুলো মধ্যে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতী ওয়াক্কাস যশোর-৬, মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী সুনামগঞ্জ-৩, খেলাফত মজলিসের মাওলানা মুহাম্মাদ ইসহাক পাবনা-৫ এবং মহাসচিব আহমেদ আব্দুল কাদের হবিগঞ্জ-৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান।
আর নিবন্ধন হারানো জামায়াতে ইসলামী অন্তত ৪০টি আসনে শরিকদের সমর্থন চাইবে। জামায়াতে ইসলামীর উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় আমির মকবুল আহমদ, সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান। সাবেক এমপিদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক মজিবুর রহমান, মিয়া গোলাম পরোয়ার, ডা. আব্দুল্লাহ মোহাম্মাদ তাহের, হামিদুর রহমান আযাদ, শামসুল ইসলাম, আব্দুল খালেক। অন্যদের মধ্যে রয়েছেন রফিকুল ইসলাম খান, নুরুল ইসলাম বুলবুল, ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, রেজাউল করিম, মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। এ ছাড়া দলটির সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নজিবুর রহমান মোমেন, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে ইন্দুরকানী উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী প্রমুখ নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাইবেন।
জোটের শরিক বাংলাদেশ ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানের সাজা বাতিলের জন্য আমরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে যেতে চাই। এ বিষয়ে আজ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।’
জোটের শরিক বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, ‘যাদের নিবন্ধন নেই তারা বিএনপির হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ বিষয়ে গত বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আজকের বৈঠকে চূড়ান্ত হবে।’
কেএইচ/এমবিআর/এমএস