ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

দ্বিতীয় দফা সংলাপে যাচ্ছেন ঐক্যফ্রন্টের যে ১১ জন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৫৩ পিএম, ০৬ নভেম্বর ২০১৮

১ নভেম্বর প্রথম দফা সংলাপের পর সরকারের সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের দ্বিতীয় দফা সংলাপ আগামীকাল বুধবার। গণভবনে বেলা ১১টায় এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এই সংলাপে অংশ নেবেন। এর মধ্যে রয়েছেন বিএনপির ৩ জন, ঐক্যফ্রন্টের ৮ জন।

গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গণভবনে আগামীকাল যারা সংলাপে অংশ নেবেন- ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, অন্যদের মধ্যে আ স ম আবদুর রব, মোস্তফা মহসীন মন্টু, সুলতান মনসুর, আবদুল মালেক রতন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, এস এম আকরাম, সুব্রত চৌধুরী।

গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ঐক্যফ্রন্টের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সংলাপে খালেদা জিয়ার মুক্তিকে প্রধান ধরেই সংবিধানের ভেতরে থেকে নির্বাচনকালীন সরকার ও সংসদ ভেঙে দেয়ার বিষয়টি দ্বিতীয় দফা সংলাপে জোরেশোরে তুলে ধরা হবে। এছাড়াও খালেদা জিয়ার জামিনে মুক্তি এবং ভোটে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সাজা স্থগিত করার জোড়াল দাবি থাকবে। এ বিষয়ে আইনি, রাজনৈতিক ও মানবিক কিছু যুক্তিও তুলে ধরবেন তারা। যুক্তির বিষয়গুলো নিয়ে ইতোমধ্যেই সারসংক্ষেপ তৈরি করা হয়েছে। এসব বিষয়ে সাংবিধানিক সমাধান খুঁজে বের করতে আইন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে গত কয়েকদিন ধরেই ম্যারাথন বৈঠক করেছেন ফ্রন্টের নেতারা।

সূত্র জানায়, আগামীকালের বৈঠকে দশম জাতীয় সংসদ ভেঙে দেয়া ও ৮ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না করার জন্য আহ্বান জানাবেন। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের বিষয় বলে মতামত দিলে ফ্রন্টের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে বলা হবে যে, আওয়ামী লীগ যেন নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপের বিষয়গুলো উপস্থাপন করে। প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে এমন চিঠি দিলে ইসি বিষয়টিতে গুরুত্ব দেবে। কেননা, সরকারি ও বিরোধী উভয় দল একই দাবি করলে ইসির পক্ষে তা না মেনে চলার উপায় থাকে না।

পাশাপাশি সংবিধান মেনে জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিতে প্রধানমন্ত্রীকে একমত হওয়ার প্রস্তাব দেবেন। যাতে দেশের নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সেরে ফেলতে পারে। কেননা, নির্বাচন নিয়ে জটিলতা ও অনিশ্চয়তার কারণে অনেক রাজনৈতিক দলই নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রীকে বোঝানো হবে, এতে সংবিধানের কোনো বরখেলাপ হবে না।

এর আগে, প্রথম বৈঠকে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট উপস্থাপিত সাত দফার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এই প্রেক্ষাপটে বিএনপিসহ অন্যান্য নেতারা ঐক্যফ্রন্ট্রের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনকে ‘অসমাপ্ত আলোচনা’ সমাপ্ত করার তাগিদ দেন। যার ফলেই তিনি প্রধানমন্ত্রী বরাবর ফের সংলাপের চিঠি পাঠান। চিঠিতে তিনি বলেন, বর্তমান জটিল সাংবিধানিক বিষয়ের সমাধান পেতে ছোট পরিসরে আলোচনা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রীও তার প্রস্তাবে সম্মতি দেন।

ইতোমধ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে সংলাপ শেষ হওয়ার আগে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। যদিও তারা (ইসি) ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছে। নির্বাচন কমিশন সাধারণত ৪৫ দিন হাতে রেখে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে থাকে। এই অবস্থায় ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচন হতে পারে বলে জানা গেছে।

কেএইচ/জেএইচ/পিআর

আরও পড়ুন