সংলাপের ফলাফল নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী
বিভিন্ন দল ও জোটের সঙ্গে চলমান সংলাপ শেষে আগামী ৮ বা ৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন। এজন্য সার সংক্ষেপ তৈরি করতে তিন জনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
সোমবার সচিবালয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক ইস্যুতে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্ট এবং যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে তাদের বেশ কিছু দাবি সরকার মেনে নিয়েছে। তারা নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক চেয়েছেন, এতে আমাদের আপত্তি নেই, আমরা একমত। তবে এ সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের (ইসি), সরকারের নয়। তারা (ইসি) বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিলে সরকার বাধা দেবে না।
দ্বিতীয়টি হচ্ছে, তারা নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চেয়েছেন। আমরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করতে রাজি আছি। নির্বাচনকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রীরা নিরাপত্তা ছাড়া কোনো বাড়তি সুযোগ নেবেন না। এ সময় প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রীরা গাড়িতে জাতীয় পতাকা ব্যবহার করবেন না। প্রধানমন্ত্রী শুধু দলীয় পতাকা ব্যবহার করবেন। প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রীরা যদি গাড়িতে শুধু দলীয় পতাকা ব্যবহার করেন, তাহলে এটিই তো একটি বড় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড।
তিনি আরও বলেন, তাদের সঙ্গে সীমিত পরিসরে আগামী বুধবার আবারও যে আলোচনা হবে সেখানে সংবিধানসিদ্ধ কোনো দাবি থাকলে সেগুলোও মেনে নেয়া হবে।
বিরোধীদের দাবি অনুযায়ী নির্বাচনের সময় সংসদ ভেঙে দেয়া হবে কি-না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভারত ও ইংল্যান্ডে নির্বাচনের সময় তো সংসদ ভেঙে দেয়া লাগে না। তাহলে বাংলাদেশে এর ব্যতিক্রম হবে কেন?
তিনি বলেন, যুক্তফ্রন্ট এই ক্ষেত্রে একটি দাবি জানিয়েছে যে, নির্বাচনের সময় সংসদ নিষ্ক্রিয় রাখতে হবে। আমরা সেই দাবি মেনে নিয়েছি। নির্বাচনের সময় এমপিদের ক্ষমতা থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, চাপ দিয়ে কোনো কিছু আদায় করা যাবে না। যুক্তিসঙ্গত কোনো বিষয় যদি থাকে তাহলে সেটা আলোচনা করে সমাধান করতে হবে। আর তা হতে হবে সংবিধান অনুযায়ী।
নির্বাচনকালীন বাকি বিষয়গুলো ৮ তারিখে শিডিউল ঘোষণার পর পরিষ্কার হবে। তবে এর বাইরে সংবিধান বহির্ভূত কোনো দাবি তারা করবে না বলে আমি মনে করি। সংবিধানের বাইরে কোনো দাবি মেনে নেয়ার সুযোগ এই মুহূর্তে নেই, যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
এমইউএইচ/এমএমজেড/জেআইএম