বৈঠকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট
শনিবার রাত ৮টার দিকে রাজধানীর মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে বৈঠকে বসেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন জোট নেতা ড. কামাল হোসেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, আ ব ম মোস্তফা আমিন, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসীন মন্টু, শাহ আহমদ বাদল, অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক প্রমুখ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাড়ে তিন ঘণ্টার বেশি সময় সংলাপ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দল। সংলাপ শেষে গণভবন থেকে বের হয়ে রাত ১১টায় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা ড. কামাল হোসেনের বাড়িতে প্রবেশ করেন। বাড়ির আঙ্গিনায় সংবাদকর্মীরা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য শোনার অপেক্ষায় থাকলেও ভেতরে নেতারা বসেন পরবর্তী অবস্থান নিয়ে আলোচনায়।
জানা গেছে, গণভবনের আলোচনা থেকে তারা তেমন কিছুই পাননি। পাওয়ার সম্ভাবনাও কম। ফের সংলাপে বসলেও তেমন কিছু পাওয়া যাবে না। এ অবস্থায় তারা মনে করেন আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। মাঠে নেমেই দাবি আদায় করতে হবে। কাজেই মাঠে নামার ওপরই তারা গুরুত্বারোপ করেন।
এদিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির শীর্ষ নেতারা বৈঠক করেন। শনিবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আবারও ড. কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাসায় বৈঠকে বসছেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। এতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভা সফল করার পাশাপাশি আগামী ৯ নভেম্বর রাজশাহীতে জনসভা আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা হবে। এর বাইরে আর কি কি কর্মসূচি দেয়া যায়- তা চূড়ান্ত হতে পারে।
ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপে বসার মধ্য দিয়ে আলোচনার দ্বার উন্মোচন হলেও আমাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। আমরা আমাদের কথা বলেছি। তিনি শুনেছেন। অনেক কথা বলেছেন। দু-একটি বিষয় ছাড়া দাবি-দাওয়া বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলেননি। আমরা আলোচনার পথ খোলা রাখব। পাশাপাশি দাবি আদায়ে রাজপথে নামব, জনগণের ঐক্য গড়ে তুলতে কাজ করব।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আন্দোলনই এখন দাবি আদায়ের আমাদের একমাত্র ভরসা। আন্দোলন ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।
জানতে চাইলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব বলেন, আমাদের কিছু দাবি সরকার মেনে নিয়েছে। বাকি দাবিও তাদের মানতে হবে। দাবি আদায়ে আমরা এবার চূড়ান্ত আন্দোলনে নামব। আমাদের দাবি উপেক্ষা করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলে তা মানব না। সরকার চাইলে যা খুশি করবে- তা হতে দেয়া হবে না।
এইউএ/জেএইচ/আরআইপি