সংলাপ দীর্ঘ সময় চালিয়ে যাওয়া সম্ভব না
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের নেত্রী (শেখ হাসিনা) বলেছেন, সংলাপের জন্য ওনার দরজা সবার জন্য খোলা। কাজেই আমরা কাউকে নিরাশ করবো না। তবে ৭ তারিখের পরে সিডিউল ডিক্লেয়ার হয়ে গেলে আসলে আমাদের কর্মকাণ্ড আরও বিস্তৃত হয়ে যাবে। সে অবস্থায় সংলাপ দীর্ঘ সময় চালিয়ে সম্ভব হবে না।
শনিবার জেল হত্যা দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সংলাপে অংশ নেয়া পার্টি, সব মিলিয়ে ৮০টার মতো দল হয়ে যায়। এ পর্যন্ত আমরা ৩২টি আবেদন পেয়েছি। এর মধ্যে ১৪ দল এবং জাতীয় পার্টি ছাড়া ৩১টি আবেদন পেয়েছি। আমরা ৮ তারিখ পর্যন্ত যেতে পারছি না, কারণ সিডিউল ডিক্লেয়ার, নমিনেশন নানা বিষয় আছে। আমরা ৭ তারিখে শেষ করব। ৪ তারিখে ১৪ দল, ৫ তারিখে জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে আমরা বৈঠক করব। এরপর ইসলামী কিছু দল আছে, সিপিবির নেতৃত্বে বাম গণতান্ত্রিক জোটও সংলাপে অংশ নেবে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ নিয়ে সব সময় আশাবাদী হতে হয়। আমরা চাই, একটা সুষ্ঠু, ক্রেডিবল, এক্সেপ্টেবল, পার্টিসিপেটরি, ইনক্লুসিভ ইলেকশন। সেজন্য সবাই অংশ নিক, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। এর ব্যত্যয় হলে সেটা দেশের জন্য ভাল হবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা সতর্ক, কারো মনে যদি ভিন্ন কোনো মতলব থাকে, কেউ যদি আজকে সংলাপে এসেই একটা লোক দেখানো অংশ নেয় এবং ভিতরে ভিতরে অন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে, নির্বাচনের প্রস্তুতির পাশাপাশি কেউ যদি নাশকতার ছক করেন, তারপর যদি সহিংসতার দিকে পা বাড়ান সেই অবস্থায় আমরাও প্রস্তুত। আমরা সংলাপে বসছি, নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছি। সেই সঙ্গে যদি কেউ নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত করে তার সমুচিত জবাব দেয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত।
তিনি বলেন, সবাই তো আর সন্তুষ্ট হবেন না। আমরা দলনেতার বক্তব্যেকেই প্রধান্য দিচ্ছি। ড. কামাল হোসেন কিন্তু বলেছেন, ভাল আলোচনা হয়েছে। কাজেই আমরা সেটা নিয়েই আপাতত থাকি। গতকাল (শুক্রবার) বি চৌধুরীর নেতৃত্বে যে সংলাপ হয়েছে সবাই কিন্তু একই সুরে কথা বলেছেন। মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী চেতনা, বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্ব এ ব্যাপারে কিন্তু কোনো দ্বিমত তারা করেননি। এ ব্যাপারে আমাদের মতোই জোরালো বক্তব্য তারা রেখেছেন।
কাদের বলেন, আমার মনে হয়, কিছু কিছু বিষয়ে তাদের দাবি-দাওয়া ছিল। আমরা তাদের সেগুলো মেনে নিতে রাজি হয়েছি। আমাদের নেত্রী বলেছেন, এসব দাবির মধ্যে যেসব গ্রহণযোগ্য, সংবিধান লংঘন করবে না, সংবিধান সংশোধন করতে হবে না-সেসব মেনে নিতে কোনো আপত্তি নেই। কিছু বিষয় আছে ইলেকশন কমিশনের ব্যাপার। ইলেকশন কমিশন সিদ্ধান্ত নিবেন।
জাতীয় পার্টি (জাপা) মহাজোটে থাকবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে আমাদের যারা প্রতিপক্ষ তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কিনা তার উপর নির্ভর করছে। এখন মেরুকরণটা যেখানে গিয়ে দাঁড়াবে সমীকরণ এলায়েন্স ঠিক সে রকম হবে।
এইউএ/এমএমজেড/এমএস