ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

‘রাজনীতিতে চাড়াল-মুচির সঙ্গেও আলোচনায় বসতে হয়’

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৮:৫১ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০১৮

রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই মন্তব্য করে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘রাজনীতি করতে হলে চাড়াল-মুচির সঙ্গেও আলোচনায় বসতে হয়। যাদের কাছ থেকে পোড়াগন্ধ আসছে তাদের সঙ্গেও আলোচনা করতে হয়। শেখ হাসিনা সেই কাজটিই করে মহত্বের পরিচয় দিয়েছেন।’

মতিঝিলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বুধবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশের সার্বিক ঐক্য চেয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। তবে তার বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান কী হবে তা তিনি জানাতে সবাইকে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন।

বঙ্গবীর জানান, আগামী ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে দেশে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেছেন। সে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। আলোচনা সভায় সাবেক রাষ্ট্রপতি বি. চৌধুরীকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে। সেখানে তার রাজনৈতিক অবস্থা জানাবেন কাদের সিদ্দিকী। পাশাপাশি তিনি জানান, আজ রাতে তিনি তার মোহাম্মদপুরের বাসভবনে ড. কামাল হোসেনকে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, এবং সব বিষয়গুলোই রাজনৈতিক বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের উদ্যোগকে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেন কাদের সিদ্দিকী। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘সংলাপের মতো ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ও সাহসী পদক্ষেপ বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বলেই নিতে পেরেছেন। এ সংলাপের জন্য ফুটপাতে ৬৪ দিন কাটাতে হয়েছে। ৩০৮ দিন ঘরের বাইরে থাকতে হয়েছে। ফুটপাতে যখন ছিলাম তখন এ সরকার পক্ষের সন্ত্রাসীরা টয়লেট ব্যবহার করার জন্য আমার বদনাটাও চুরি করে নিয়েছে।’

বঙ্গবীর বলেন, ‘দেশে একটি সম্মানজনক রাজনৈতিক সমাজ চাই, আজকে শ্রমিকের মুখে কালি মাখা হলো। তবে এ কালি শ্রমিকের মুখে মাখানো হয়নি, এটা আসলে দেশ ও জাতির মুখে মাখানো হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রতি মুহূর্তে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হচ্ছে। সংলাপ ডাকার আগে দেশে অস্থিরতা ছিল। এখন তা অনেকটাই কেটে গেছে। এ উদ্যোগ এবং পদক্ষেপ মাইলফলক হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসে লেখা থাকবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বীর প্রতীক, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম তারেক।

এফএইচএস/এনডিএস/এমএস

আরও পড়ুন