ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

সংবিধানের বাইরে আলোচনা করে কোনো লাভ নেই : নাসিম

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:১২ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০১৮

সংলাপে বসে সংবিধানের বাইরে আলোচনা করে কোনো লাভ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম।

বুধবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি কলোনি মাঠে চৌদ্দ দল আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নাসিম বলেন, ‘সংলাপ হবে। সব দলের সঙ্গেই সংবিধানের আলোকে সংলাপ করতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার দ্বার উন্মুক্ত। তবে, একটা কথা মনে রাখতে হবে নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী, শেখ হাসিনার অধীনে।’

তিনি বলেন, ‘সংবিধানের বাইরে আলোচনা করলে চৌদ্দ দল তথা বাংলার মানুষ তা মেনে নেবে না।’

নাসিম বলেন, নির্বাচন হবে ডিসেম্বরে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ডিসেম্বরে দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় বিজয় মঞ্চ করবে চৌদ্দ দল। নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করে স্মরণকালের সবচাইতে বৃহত্তর কলেবরে বিজয় উৎসব উদযাপন করবে চৌদ্দ দল।’

ড. কামাল হোসেনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘কামাল সাহেব আপনি গুণী লোক। বঙ্গবন্ধু আপনাকে কামাল হোসেন বানিয়েছিলেন। বিনা ভোটে এমপি ও মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। আর সেই আপনি আজ খুনিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। আপনার জন্য সত্যি লজ্জা হয়।’

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সম্পর্কে নাসিম বলেন, ‘১৫ আগস্টের পর মোস্তাকের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন মইনুল। ১/১১-এর সময় যে লোকটি মামলায় করেছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে তিনিও ব্যারিস্টার মইনুল। শেখ হাসিনা আইনি প্রক্রিয়ায় নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করেছেন। কিন্তু বিএনপি নেত্রী মইনুলের করা মামলায় আজ জেলে। সেই মইনুলকে নিয়েই বিএনপি জোট করেছে। সুতরাং তাদের ভবিষ্যৎ কী হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।’

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে নাসিম বলেন, ‘এবার বিএনপি নির্বাচনে না এলে পরে বাটি চালান দিয়েও তাদের আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘খেলা হবে নির্বাচনের মাঠে। বিশ্বকাপে মেসি গোল মিস করেছে, নেইমার গোল মিস করছে কিন্তু নির্বাচনী খেলায় শেখ হাসিনা গোল মিস করবেন না।’

সভাপতির বক্তব্যে চৌদ্দ দলীয় জোটের শরীক দল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলছেন, ৭ দফা মেনে না নিলে ক্ষমতাসীনদের এমন শাস্তি দিবে যা আওয়ামী লীগ ভাবতেও পারে না। আমি বলি, শেখ হাসিনাকে আর কী শাস্তি দিবেন? ১৫ আগস্ট তো তার পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন। ২১ আগস্ট হামলা করে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিলেন। আর কী করতে চান? শেখ হাসিনাকে ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলার মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। তার কিংবা তার দলের নেতাদের কিছু হলে বাংলার মানুষ ক্ষমা করবে না। বরং আপনারা প্রস্তুত থাকুন নির্বাচনের পরে জনগণের ভয়ে আপনাদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে বেড়াতে হবে।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, গণআজাদী লীগের সভাপতি এস কে শিকদার, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আকতার হোসেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতা আবৃত্তিশিল্পী আহকাম উল্যাহ প্রমুখ।

এইউএ/এএইচ/জেআইএম

আরও পড়ুন