‘নেত্রীর দরজা কারও জন্য বন্ধ নয়’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমাদের নেত্রী এবং আমরাও ঐক্যফ্রন্টের প্রস্তাবে রাজি এবং তাদের সঙ্গে সংলাপে বসব।’
সোমবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গতকাল জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে ড. কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দেয়া হয়। আমাদের দলের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ তা গ্রহণ করেন। চিঠিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা সংলাপে বসতে আহ্বান জানান।’
তিনি বলেন, ‘আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর নেত্রী আমাদের নিয়ে একটি অনির্ধারিত বৈঠক করেন। উপস্থিত দলীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং সবার মতামত জানতে চান। অনির্ধারিত এ আলোচনায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় যে, আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর দরজা কারও জন্য বন্ধ নয়।’
‘প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বলতে চাই, বঙ্গবন্ধুর কন্যার দরজা কারও জন্য বন্ধ থাকে না। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, আমরা সংলাপে বসতে রাজি।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কারও চাপের মুখে কিংবা নতিস্বীকার করে নয়। আমাদের পক্ষ থেকে কাউকে ডাকিনি। ঐক্যফ্রন্টের নেতারা সংলাপ করতে চান আর আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সংলাপে বসতে রাজি হন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সংলাপে নেতৃত্ব দেবেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। খুব শিগগিরই আমরা সময়, স্থান ও আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো তাদের জানিয়ে দেব। অনতিবিলম্বে তা জানিয়ে দেয়া হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সংলাপ তফসিল ঘোষণার আগেই হবে।’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফাসহ অন্যান্য দাবিগুলো মানা হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়, আলোচনা যখন হবে, আলোচনার রেজাল্টের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি এই মুহূর্তে শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে সমগ্র দেশবাসীর জন্য প্লিজেন্ট সারপ্রাইজড দেব। যা সারাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে স্বস্তির সুবাতাস দেবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসেন, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল প্রমুখ।
এইউএ/এমএআর/এমএস