যতটুকু কঠোর হওয়া দরকার সরকার ততটুকু হবে
>> আন্দোলনের নামে যে কোনো নৈরাজ্য প্রতিহত করবে সরকার
>> নির্বাচনকালীন সরকারে সম্ভবত কোনো পরিবর্তন আসছে না
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘ডিসেম্বরেই জাতীয় নির্বাচন হবে। কেউ বাধা দিতে চাইলেও সফল হবে না। আন্দোলনের নামে যে কোনো ধরনের নৈরাজ্য প্রতিহত করবে সরকার। নির্বাচনকালীন সরকারে সম্ভবত কোনো পরিবর্তন আসছে না বলেও জানান তিনি।
রোববার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাধারণ বীমা কর্পোরেশন কর্তৃক লভ্যাংশ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়েত-উল-ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান প্রমুখ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে দেশে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। নির্বাচন ডিসেম্বর মাসে হবে। মাত্র তিন মাস সময় আছে। এখন আমাদের দেশের রাজনৈতিক অবস্থা পুরোপুরি স্থিতিশীল। আমাদের মনে হয় না এটাকে কেউ বিঘ্নিত করার চেষ্টা করবেন। করলেও তা করতে পারবেন না। সুতরাং আমি রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে মোটেও চিন্তিত নই।’
‘আমি বহুদিন ধরেই বলছি যে, আগামী নির্বাচনে সবাই অংশগ্রহণ করবে। বিএনপি অবশ্যই অংশগ্রহণ করবে। না করলে পার্টি হিসেবে কোনো অস্তিত্বই থাকবে না। আশা করছি, আগামী নির্বাচন খুব ভালো হবে এবং নির্বাচন যে নিরপেক্ষ হয় সেটার উদাহরণ আমরা ইতোমধ্যে স্থাপন করেছি। আবার নতুন করে সেটা প্রমাণ করতে হবে না।’
আজ একটি ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এতে অর্থনীতির জন্য কোনো ক্ষতি হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘কারা ধর্মঘট করছে?’ পরিবহন শ্রমিকরা সড়ক আইনের পরিবর্তন চেয়ে ধর্মঘট করছে জানানো হলে তিনি বলেন, ‘কোনো ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রচেষ্টা সফল হতে দেবে না সরকার। এজন্য সরকারকে যতটুকু কঠোর হতে হবে ততটুকু কঠোর হবে। নৈরাজ্যের প্রচেষ্টা যে কোনো পরিস্থিতিতে যেই করুক না কেন সরকার সেটা নিয়ন্ত্রণ করবে।’
সংসদে সদ্য পাস হওয়া ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’ এর কয়েকটি ধারা সংশোধনসহ আট দফা দাবি আদায়ে সারাদেশে ডাকা ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন সারাদেশ। রোববার সকাল থেকেই অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সব যান বন্ধ থাকায় এক ধরনের জিম্মি হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
এবার নির্বাচনকালীন সরকারের আকার কেমন হতে পারে- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তো বলেই দিয়েছেন, হয়তো উনি এটাতে কোনো পরিবর্তন আনবেন না। হয়তো এটাই চলতে থাকবে। দু-একদিনের মধ্যেই এটা আপনারা বুঝে ফেলবেন।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী নিজেও আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মন্ত্রিসভার আকারে বড় কোনো পরিবর্তন নাও আনা হতে পারে বলে ইংগিত দেন।
২২ অক্টোবর গণভবনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বর্তমান মন্ত্রিসভায় ‘সব দলের’ প্রতিনিধিই আছেন। নির্বাচনকালীন সরকারের আকার ছোট করা হলে উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হতে পারে।”
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা বলে আসছিলেন, ২০১৩ সালের মতো এবারও ভোটের আগে ‘ছোট পরিসরের নির্বাচনকালীন’ মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে। চলতি বছরের শুরুতে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নিজেও এমন আভাস দিয়েছিলেন।
এমইউএইচ/এমএআর/পিআর/জেআইএম