ভোলায় বিএনপির ৬১ নেতা জেলে
ভোলায় চারটি মামলায় জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় বিএনপির বিভিন্ন সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের ৬১ নেতা কারাভোগ করছেন। পুলিশ অ্যাসল্ট মামলায় রোববার জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি, ছাত্রদল সভাপতি, যুবদল সহ-সভাপতিসহ বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের ২৯ জন নেতাকে জামিন নামঞ্জুর করে জেলে পাঠিয়েছেন আদালত।
এর আগে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমামুল হক, জেলা যুবদল সভাপতি ইয়ারুল আলম লিটন, সাবেক ছাত্রদল সভাপতি আব্দুল কাদের সেলিমসহ ৩২ জনকে জেলে পাঠান আদালত। এ নিয়ে বর্তমানে র্শীষ পর্যায়ের ৬১ জন নেতা কারাগারে রয়েছেন।
আসামিদের পক্ষের আইনজীবী ড. আমিরুল ইসলাম বাসেদ জাগো নিউজকে জানান, গতকাল জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জামিল হোসেন অদুদ, জেলা যুব দলের সিনিয়র সহসভাপতি তরিকুল ইসলাম কায়েদ, জেলা ছাত্র দলের সভাপতি খন্দকার আল-আমিনসহ ৩৬ জন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে চারটি মামলার হাজিরা দিয়ে জামিন প্রার্থনা করা হয়।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসফিকুল হক সাতজনের জামিন মঞ্জুর করেন। অপর ২৯ জনের জামিন না মঞ্জুর করে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলা চারটি হলো, ৭৩/২০১৪, ৪/২০১৫, ১৮/২০১৫ ও ২০/২০১৫ । এ চারটি মামলা পুলিশ অ্যাসল্ট ও নাশকতামূলক ঘটনাকে কেন্দ্র করে।
শনিবার জামিন প্রার্থনাকারীদের মধ্যে জামিনপ্রাপ্ত সাতজন ছিলেন জাতীয় পাটি (প্রার্থ) বিজেপির নেতাকর্মী। জেলা বিএনপি সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া জানান, তাদের দলীয় কর্মকাণ্ড স্থবির করে রাখতে শীর্ষ নেতাকর্মীদের এভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
অপরদিকে, গত ২৮ জুলাই জামিন বাতিল হওয়ায় জেল হাজতে পাঠানো হয় ৩২ জনকে। এদের প্রথমে ১ মামলার আসামি করা হলেও পরে আরো ২টি মালার আসামি করে সন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। এসব ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে জামিন বাতিল আতঙ্ক বিরাজ করছে।
অমিতাভ অপু/এমজেড/এমআরআই
সর্বশেষ - রাজনীতি
- ১ আওয়ামী লীগকে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলার যৌক্তিকতা নেই: মঈন খান
- ২ দোসররা আওয়ামী লীগকে রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছে: জাতীয় নাগরিক কমিটি
- ৩ বাংলাদেশ পাকিস্তানও হবে না, আফগানিস্তানও হবে না: ডা. শফিকুর রহমান
- ৪ চট্টগ্রামকে ভারতের অংশ করার উসকানি, জামায়াতের নিন্দা
- ৫ বিএনপির ৩১ দফা নিয়ে যা ভাবছে রাজনৈতিক দলগুলো