চট্টগ্রাম পৌঁছেই মাজার জিয়ারত ড. কামাল-ফখরুলের
চট্টগ্রামে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই সকাল থেকে সমাবেশস্থলে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেন। তবে অন্যান্য দলের নেতাকর্মীরদের তেমন একটা দেখা যায়নি। সকালে ঢাকা থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে জোটের ঊর্ধ্বতন নেতারা চট্টগ্রামে এসেই হযরত শাহ আমানতের (র) মাজার জিয়ারত করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, শুক্রবার রাতেই জনসমাবেশের মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ হয়। আজ বেলা ১১টার পর থেকে সভাস্থলে আসতে শুরু করেন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। সভাস্থলের আশপাশ বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের কারাবন্দি নেতাদের মুক্তি চেয়ে ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে গেছে। মঞ্চের সামনে জড়ো হয়েছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নেতাকর্মীরা। সেখানে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে স্লোগান দেয়া হচ্ছে। তবে ঐক্যফ্রন্টের অন্যান্য দলের তেমন কোনো নেতাকর্মী চোখে পরেনি।
জোট সূত্রের খবর, বিএনপি নেতারা ছাড়াও আজকের সমাবেশে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেবেন।
শনিবার সকালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামী আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন। পরে সকাল ১১টার দিকে নগরের জেল রোডে হযরত শাহ আমানতের (র) মাজার জিয়ারত করেন তারা।
আজ দুপুর ২টা থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। জোট নেতারা বলছেন, তারা শুরু থেকেই সমাবেশ নিয়ে প্রস্তুত ছিলেন। তাই দেরিতে অনুমতি মিললেও আজ বিকেলের সমাবেশে জনতার ঢল নামবে।
নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘লালদীঘির মাঠে ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ করার জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু প্রশাসন লালদীঘি মাঠের পরিবর্তে আমাদের নগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে। সে অনুসারে আমরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। ইনশাআল্লাহ চট্টগ্রামবাসী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশকে জনসমুদ্রে পরিণত করবে।’
তবে ২৫ শর্তের কোনো একটি ভঙ্গ করা হলে যেকোনো মুহূর্তে জনসভার অনুমতি বাতিল হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন সিএমপির কমিশনার মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘কিছু শর্ত দিয়ে ঐক্যফ্রন্টকে জনসভার অনুমতি দেয়া হয়েছে। মিছিল নিয়ে জনসভায় না আসা, বিকেল ৫টার মধ্যে জনসভা শেষ করাসহ বেশকিছু শর্ত দেয়া হয়েছে। আশা করছি আয়োজকরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের ক্ষেত্রে কোনো প্রকারের ব্যত্যয় ঘটাবেন না। তবে কোনো ধরনের ব্যত্যয় ঘটলে তার দায় দায়িত্ব তাদের ওপর বর্তাবে।’
আবু আজাদ/বিএ/জেআইএম