জনতার ঢল নামবে, আশা ঐক্যফ্রন্টের
দেশের রাজনীতিতে নানামুখী আলোচনার জন্ম দেয়া নতুন জোট ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ আজ। সিলেটের পর এবারই প্রথম চট্টগ্রামে সমাবেশ করতে যাচ্ছে ঐক্যফ্রন্ট। নগর পুলিশরে সঙ্গে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দরকষাকষির পর একেবারে শেষ মুহূর্তে গতকাল ২৫ শর্তে জনসভার অনুমতি পায় এ নতুন জোট।
তবে জোট নেতারা বলছেন, তারা শুরু থেকেই সমাবেশ নিয়ে প্রস্তুত ছিলেন। তাই দেরিতে অনুমতি মিললেও আজ বিকেলের সমাবেশে জনতার ঢল নামবে। গতকাল রাতের মধ্যেই শেষ হয়েছে মঞ্চ তৈরির কাজ। ইতোমধ্যে সমাবেশস্থলের আশপাশে ভিড় করতে শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা। সমাবেশে অংশ নিতে গতকাল রাতেই চট্টগ্রাম পৌঁছেছেন জোট নেতাদের অনেকে। সমাবেশ শুরুর আগে পৌঁছাবেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘লালদীঘির মাঠে ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ করার জন্য আমরা আবেদন করেছিলাম। কিন্তু প্রশাসন লালদীঘি মাঠের পরিবর্তে আমাদের নগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে। সে অনুসারে আমরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। ইনশাআল্লাহ চট্টগ্রামবাসী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশকে জনসমুদ্রে পরিণত করবে।’
নগর বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী বলেন, ‘নাসিমন ভবনে আমাদের পার্টি অফিসের সামনে নূর আহমদ সড়কে সমাবেশের মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। শনিবার দুপুর ২টা থেকে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ করার প্রস্তুতি রয়েছে। শুক্রবার সকালে সকালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রস্তুতিসভা ও বিকেলে চট্টগ্রাম বিভাগের বিএনপির সকল নগর ও জেলার নেতৃবৃন্দের যৌথ প্রস্তুতিসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশ সফল করতে ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় অনেক নেতা চট্টগ্রামে এসেছেন।’
চট্টগ্রামে ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছেন তেমন বিএনপির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘চট্টগ্রামের জনসভায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক চট্টগ্রামের কৃতী সন্তান অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী ছাড়াও ২০ দলীয় জোটের শরিক দলের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য রাখবেন।’
তবে ২৫ শর্তের কোনো একটি ভঙ্গ করা হলে যেকোনো মুহূর্তে জনসভার অনুমতি বাতিল হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন সিএমপির কমিশনার মোহাম্মদ মাহাবুবর রহমান। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘কিছু শর্ত দিয়ে ঐক্যফ্রন্টকে জনসভার অনুমতি দেয়া হয়েছে। মিছিল নিয়ে জনসভায় না আসা, বিকেল ৫টার মধ্যে জনসভা শেষ করাসহ বেশকিছু শর্ত দেয়া হয়েছে। আশা করছি আয়োজকরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের ক্ষেত্রে কোনো প্রকারের ব্যত্যয় ঘটাবেন না। তবে কোনো ধরনের ব্যত্যয় ঘটলে তার দায় দায়িত্ব তাদের ওপর বর্তাবে।’
আবু আজাদ/বিএ/পিআর