‘১৪ দলের কাকে কোথায় আসন, ঠিক করবেন নেত্রী’
>> নির্বাচন হবে অহিংসার ও শান্তিপূর্ণ, যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবেন
>> কোনো রকমের প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন না শেখ হাসিনা
>> রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে ভূমিকা রাখার আহ্বান
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে শরিকদের কাকে কোথায় আসন দেয়া হবে, তা ঠিক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে ১৪ দলীয় জোটের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নাসিম বলেন, ২৬ তারিখে (অক্টোবর) আওয়ামী লীগের যৌথসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নীতিনির্ধারণী বক্তব্য দেবেন। ওখানে আসন ভাগাভাগির কোনো প্রশ্নই আসে না। ১৪ দলের সঙ্গে নেত্রী সহসাই বসবেন। তখনই নেত্রী ঠিক করবেন, কাকে কোথায় আসন দেবেন।
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের গ্রেফতারকে আপনারা কীভাবে দেখছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, মামলার ভিত্তিতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা নিয়েতো বিশেষ কিছু বলার নেই। তিনি নারীসমাজকে যেভাবে অসম্মান করেছেন, তা কোনো সভ্য লোক করতে পারেন না। এটা সবার নিন্দা করা উচিত।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে অনেক জ্বালাও-পোড়াও হয়েছিল, আগামী নির্বাচনে আমরা সেটা চাই না। আমরা অবশ্যই নির্বাচন চাই, নির্বাচন অহিংসার হবে এবং শান্তিপূর্ণ হবে। জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা সবসময়ই অহিংসা ও শান্তিতে বিশ্বাস করেন। দেশের মানুষকে সবসময় শান্তি ও অহিংসার পক্ষে কাজ করতে আহ্বান করেন। বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে তিনযুগ ধরে তিনি অহিংসার পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি কোনো রকমের প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন না। আপনারা আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে সমর্থন করবেন বলে আমরা আশা করি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে শান্তির দেশে পরিণত করতে হলে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে হবে। আপনারা (বৌদ্ধ সম্প্রদায়) আন্তর্জাতিকভাবে চাপ প্রয়োগ করে তাদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দীলিপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরিফ নুরুল আম্বিয়া, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, গণ আজাদী লীগের সভাপতি এস কে শিকদার, ন্যাপ নেতা ইসমাঈল হোসেন প্রমুখ।
এইউএ/জেডএ/এমএস