ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

দলছুটদের ঐক্য, যত দফাই দিক কাজ হবে না : তোফায়েল

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৫৭ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০১৮

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দলছুট ব্যক্তিদের ঐক্য, যত দফাই দিক কাজ হবে না। আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য তারা ঐক্য করেছেন, অনেক দাবি-দাওয়া করছেন, এতে লাভ হবে না। নির্বাচন হবে দেশের সংবিধান মোতাবেক। বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করবে। আমরা আশা করি, দেশের সব দলের অংশগ্রহণে এ নির্বাচন হবে।

মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) ঢাকায় ‘কর্ম গড়ে ভবিষ্যৎ, কর্মই গড়বে ২০৩০-এ ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০১৮ উদযাপন উপলক্ষে ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ কর্মশালা হয়।

গত শনিবার আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এতে বিএনপি, ঐক্য প্রক্রিয়া, নাগরিক ঐক্য ও জেএসডি রয়েছে। ওইদিন সন্ধ্যা ৬টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এর ঘোষণা দেন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। এতে অভিন্ন দাবি ও লক্ষ্য অর্জনে ৭ দফা দাবি ও ১১টি লক্ষ্য ঘোষণা করা হয়। এসব দফা ও লক্ষ্য তুলে ধরেন জোটের অন্যতম শরিক নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

আজ বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, খুনিদের দলের সঙ্গে যারা ঐক্য করে, তারা দেশের উন্নতি করতে পারে না। সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে দেশের উন্নতি হয়, তা আজ প্রমাণিত। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে দেশের মানুষ নির্বাচিত করলে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার দেশকে অনেক উঁচুতে নিয়ে যাবে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। স্বাধীনতার পর দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের জন্য খাদ্য উৎপাদন হত এক কোটি ১০ লাখ টন। আজ দেশের মানুষ ১৬ কোটির বেশি, বসতবাড়ি ও শিল্প কলকারখানা নির্মাণে জমির পরিমাণ কমেছে। তারপরও আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ ও সরকারের আন্তরিক সহযোগিতায় এখন খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে ৪ কোটি টনের বেশি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন খাদ্য রফতানিকারক দেশের তালিকায়। বাংলাদেশ এখন কৃষি পণ্য রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। এ জন্য সরকার রফতানিতে ২০ ভাগ হারে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে। দিন দিন রফতানি বেড়েই চলছে। গত তিন মাসে কৃষিপণ্য রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯৭ দশমিক ৩১ ভাগ। বর্তমানে বাংলাদেশ ধান উৎপাদনে বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ, সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, আলু উৎপাদনে অষ্টম এবং আম উৎপাদনে সপ্তম স্থান অধিকার করে আছে। ২০০৮-৯ অর্থবছরে দেশে দরিদ্র মানুষের হার ছির ৩১ দশমিক ৫ ভাগ, এখন তা নেমে এসেছে ২৪ দশমিক ৩ ভাগে। দেশের মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৭৫২ মার্কিন ডলার। গত বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৮৬ ভাগ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, কৃষি প্রধান বাংলাদেশে এখনো ৪১ ভাগ মানুষ কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। কৃষি জমির সঠিক ব্যবহার, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ এবং সরকারের বিশেষ সহযোগিতায় দেশের কৃষির উৎপাদন বেড়েই চলছে। খাদ্যের জন্য যাতে আর কখনোই বিদেশের কাছে হাত পাততে না হয়, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার সঠিকভাবেই কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারে কৃষিকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছিল। টেকসই খাদ্য নিরাপত্তার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। অপ্রতিরোধ্য যাত্রায় এখন বাংলাদেশ।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. নাসিরুজ্জামানের সভাপতিত্ব সেমিনারে মূল প্রবদ্ধ উপস্থাপন করেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম। বক্তব্য দেন এফএও’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন এবং ঢাকা পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নাজমা শাহীন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. মো. কবির ইকরামুল হক।

এমইউএইচ/জেডএ/জেআইএম

আরও পড়ুন