বিএনপি রায় প্রত্যাখ্যান করে প্রমাণ করেছে তারা মোটেও বদলায়নি : ইনু
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন বিএনপি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় প্রত্যাখ্যান করে প্রমাণ করেছে তারা দলীয়ভাবে মোটেও বদলায়নি। বিএনপি রাজনৈতিক খুনি চক্র ও একটি সন্ত্রাসী দলে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি এই রায়কে ফরমায়েশি রায় বলছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর বিএনপি জজ মিয়াকে দিয়ে ফরমায়েশি মামলা সাজিয়ে ছিল। এই রায়ের মধ্য দিয়ে সেই নাটকের স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে। সত্য বের হয়ে এসেছে। এই রায়ের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়েছে এটা একটা জঘন্য হত্যাকাণ্ড।
শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৪ দলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি রাষ্ট্রযন্ত্রের একাংশ ব্যবহার করে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। বিএনপি খুন করায় এবং খুনিদের আশ্রয় দেয়।
তিনি বলেন, বিএনপি ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার রায় প্রত্যাখ্যান করে প্রমাণ করেছে তারা দলীয়ভাবে মোটেও বদলায়নি। বিএনপি এই রায়কে ফরমায়েশি রায় বলছে। ওই হামলার পর বিএনপি জজ মিয়াকে দিয়ে ফরমায়েশি মামলা সাজিয়েছিল। এই রায়ের মধ্য দিয়ে সেই নাটকের স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে। সত্য বের হয়ে এসেছে। এই রায়ের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়েছে এটা একটা জঘন্য হত্যাকাণ্ড।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রের স্বার্থে বিএনপির সঙ্গে রাজনৈতিক লেনদেন বন্ধ করতে হবে। বিএনপিকে শুধু ক্ষমতার বাইরে নয়, তাদেরকে রাজনীতিরও বাইরে রাখতে হবে। যারা খুনি চক্র বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে জাতীয় ঐক্য করছে, তারা জাতির সঙ্গে বেঈমানি করছে। এই বিশ্বাসঘাতকরা প্রকারান্তে রাজাকার, জঙ্গি ও খুনিদের পক্ষ নিয়েছে।
ইনু বলেন, পাকিস্তানিরা ৭১ সালে যেভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার গণহত্যা ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে প্রতিপক্ষকে শারীরিক ভাবে নিশ্চিহ্ন করেতে চেয়েছিল, বিএনপি সেই একই নীতি গ্রহণ করেছে। আমি মনে করি, বিএনপি মোটেই বদলায়নি। খুনিদের রক্ষা ও সুরক্ষা করাই বিএনপির কাজ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম, সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া প্রমুখ।
এইউএ/এমএমজেড/পিআর