এক মিনিটের আন্দোলনে সরকার সংলাপে বাধ্য হবে : মওদুদ
ঐক্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরকারের অবসান ঘটানো হবে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘জাতীয় ঐক্যের আন্দোলনে এক মিনিটের মধ্যেই সরকার সংলাপে বসতে বাধ্য হবে। এ জন্য দেশের সব মানুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে ঐক্য প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে।’
শুক্রবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন : কোন পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
মওদুদ বলেন, সরকার শেষ সময়ে এসে মনে করে তাদের ক্ষমতা চিরস্থায়ী। কিন্তু তা ভুল। কারণ জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। তাই জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে সারাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বৈরাচার সরকারের অবসান ঘটানো হবে। এ জন্য জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়াকে আমরা আরও শক্তিশালী করতে কাজ করছি। এ ঐক্যের আন্দোলনে সরকার বাধ্য হবে এক মিনিটের ব্যবধানে সংলাপে বসতে, বাধ্য হবে আমাদের দাবি মেনে নিতে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচন করার সুন্দর পরিবেশ আছে বলে প্রধানমন্ত্রী যে দাবি করেছেন তা সত্য নয়, বরং তার কোনো পরিবেশই নেই দেশে। তাহলে জনগণ কিসের ভিত্তিতে নির্বাচনে অংশ নেবে। নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে সরকার এককভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে। কিন্তু অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে বাধা দিয়ে যতই প্রচার চালান জনগণের কাছে গিয়ে দেখেন ভোট নাই।
তিনি আরও বলেন, সরকার জানেন একটা সুষ্ঠু ভোটের নির্বাচন হলে দেশের মানুষ তাদেরকে পরাজয়ের মাধ্যমে প্রত্যাখ্যান করবে। এ জন্য নির্বাচনে জিততে এখন ইভিএম আমদানি করেছে। যে দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে হ্যাকিং করে সাড়ে আটশ’ কোটি টাকা নিয়ে যেতে পারে সে দেশে ইভিএম তো সাধারণ একটা মেশিন। ভোট পুনর্গণনা করা কথা সংবিধানে বলা আছে। কিন্তু ইভিএমে দ্বিতীয়বার গণনার কোনো সুযোগ নেই।
মওদুদ বলেন, আপনারা দেখেছেন হাতিরঝিল থানায় একটা মামলায় আমিসহ আমাদের শীর্ষ পর্যায়ের সব নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। কাল্পনিক, যা ঘটেনি তা সাজিয়ে মামলা দেয়া হয়েছে। এ আমলে আমরা অনেক কিছু দেখেছি। যার বর্ণনা দিতে গেলে অনেক সময় লাগবে। কিন্তু তাদের লোকেরা একের পর এক ব্যাংক লুট, কয়লা খনি লুটসহ অসংখ্য লুটপাটের মত অপরাধ করলেও আজ পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে দেখিনি। এটা জনগণ মেনে নেবে না।
চেতনার বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠন এ সভার আয়োজন করে। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শামীমা রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নান, কামরুজ্জামান রতন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
কেএইচ/আরএস/এমএস