নির্বাচন আসলে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সরকার
ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘জনগণ এখন বুঝতে পেরেছে আপনাদের অবস্থা। কারণ আমাদের সেনাবাহিনী ট্রাফিক কন্ট্রোলে কাজ করতে পারে, দুর্যোগের সময় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করতে পারে কিন্তু নির্বাচনের সময় নামতে পারবে না। এটা কিসের জন্য সেটা তো জনগণ বুঝে কারণ আপনারা তো ভোট ডাকাতি করতে পারবেন না। সে জন্যই এত অযৌক্তিক কথাই বলছেন।’
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘ভোটাধিকার, ন্যায়বিচার, বাক-স্বাধীনতা এবং বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদ (জিসপ) এ আলোচনা সভা আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্যে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘তিনি (কাদের) বলেছেন পবিত্র সংবিধান সংশোধনের সুযোগ নেই। সংবিধানের প্রতি এতোই যখন শ্রদ্ধা। তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের সময় এই শ্রদ্ধা কোথায় ছিল?’
নজরুল বলেন, ‘যখনই বলা হচ্ছে মন্ত্রী থাকা অবস্থায় কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে, তখন তিনারা বলছেন এটা অবাস্তব, অযৌক্তিক দাবি। তাদের আমি বলব ৯৬ সালের নির্বাচনে আপনারা এই দাবি করেছিলেন কোন যুক্তিকতার ভিত্তিতে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশে এখন নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। যদিও জনগণ শঙ্কিত। স্বাধীন নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে চড়ে গণতন্ত্র আসে। কিন্তু এখন নির্বাচনের সময় আসলে দেশে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে সরকার।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সরকারদলীয় লোকজন ছাড়া আর কারও ভোটের অধিকার নেই। কারণ সরকার সব নির্বাচনে একদলীয় ভোটার ব্যবস্থা কায়েম করেছে।’
নজরুল বলেন, ‘দেশের উন্নয়ন হয়েছে ঠিকই কিন্তু সেটা কিছু মানুষের উন্নয়ন হয়েছে। সবার উন্নয়ন হয়নি। যে মাথাপিছু আয় দেখানো হচ্ছে, সেটা মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তির গড় আয়ের হিসাব।’
তিনি বলেন, দেশে যে হারে ভৌতিক মামলা শুরু হয়েছে তা অকল্পনীয় আজও আমাদের নামে যে মামলা দেয়া হয়েছে। যেই এলাকার ঘটনায় মামলা হয়েছে সেখান কার আওয়ামী লীগ নেতা এবং এলাকার ব্যবসায়ীরা বলছে ওই এলাকায় তো এমন ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ থেকে বোঝা যায় বর্তমান দেশের অবস্থা কী?
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খোকনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা বরকত উল্লাহ বুলু, কাদের গনি চৌধুরী, টিএস আইউব, ওবায়দুল ইসলাম প্রমুখ।
কেএইচ/জেএইচ/এমএস